জমজম আল্লাহ তায়ালার দেওয়া অনন্য নিদর্শন ও রহমত। হজ ও ওমরাহ পালনকারীরা পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের পর মাকামে ইব্রাহিমে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে তৃপ্তিসহকারে জমজমের পানি পান করে থাকেন। জমজমের পানি যেমন পবিত্র তেমনি বরকতময় ও সুস্বাদু। এই জমজম কূপের পানি পানের সময় কী কী করতে হবে সে ব্যাপারে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব।
দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র এই পানি পানের সময় নিজের মধ্যে শান্ত বোধ রাখতে হবে এবং এই পানি পানের সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতে হবে।
গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাবা ও মসজিদে নববীতে যখন কেউ জমজমের পানি পান করবেন তারা যেন অবশ্যই আল্লাহর নাম স্মরণ করেন, ডান হাতে পানি পান করেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন।
তারা আরও বলেছে, এই পানি পানের সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না পড়ে। এছাড়া জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অযু না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
আর পানি পানের পর কাপ নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, ঠেলাঠেলি না করা, ভীড় এড়িয়ে চলা ও ভদ্রতা বজায় রাখার জন্যও মুসল্লিদের অনুরোধ করেছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
এদিকে ওমরাহ পালন করতে প্রতিদিনই মক্কায় ভিড় করেন হাজার হাজার মুসল্লি। ওমরাহ শেষে বেশিরভাগই মদিনার মসজিদে নববীতে যান।
জমজমের পানি পানে শুধু তৃষ্ণাই মিটে না; ক্ষুধা নিবারণ হয়, রোগ-বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) সবসময় জমজমের পানি সঙ্গে রাখতেন। তিনি নিজে জমজমের পানি পান করতে পছন্দ করতেন। রোগের আরোগ্য হিসেবে সাহাবাদের জমজমের পানি পান করতে বলতেন।