প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে চলতি নভেম্বর মাসেও। এ মাসের প্রথম ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৫ কোটি ডলারেরও বেশি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসেও প্রবাসী আয় ২৪০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাইতে রেমিট্যান্স ব্যাপকহারে কমে যায়। ওই সময় কয়েক দিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। আবার শেখ হাসিনা সরকারকে অসহযোগিতার জন্য ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠাতে ব্যাপক ক্যাম্পেইন হয়। সব মিলিয়ে ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৯১ কোটি ডলার, যা ছিল গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয় প্রায় ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার মাস আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে হয় ২৪০ কোটি ডলার, যা একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স আসে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এটি গত অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় সাড়ে ২১ শতাংশ। গত অর্থবছরের অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে জুলাই মাসে দেশে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স আসে। আর গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। মূলত গত মে মাসে ডলারের দাম একলাফে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করায় তখন রেমিট্যান্সে গতি এসেছিল।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১৬ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১২৫ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ কোটি ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭৫ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।