নিউ মার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট জিহাদুর রহমান শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
নিউমার্কেট থানার আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিপ এ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবীরা ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করে। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শেষে আসামি কামরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। সেখানে বলেন, ‘আমার এলাকা কেরানীগঞ্জ। নিউমার্কেট এলাকা আমার অধীনে না। ওই এলাকার এমপি আমি নিজেও না। এ মামলায় আমাকে ৫৬ নাম্বার আসামি করা হয়েছে। আমার নামটি হয়তো শেষ মুহূর্তে ভুলে এজাহারে লেখা দেয়া হয়েছে।’
এ কথা বলার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘উনি তো সব হত্যাকণ্ডের সঙ্গে জড়িত। শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিং এ থেকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।’
একথা শুনে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সব দিন তো এ করকম যায় না। এই দিন, দিন না।’
এ কথা শোনার পর রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থিত আইনজীবীরা ক্ষেপে যান। এরপর বিচারক ৮ দিনের আদেশ দিয়ে নেমে যান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন।
তিনি ২০০৮ সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে হন। ২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদন্দ্বীতায় পুনরায় সংসদ সদস্য হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনঃরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ থেকে তিনি খাদ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য।