ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহী নিহত আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিকেলে জানাজা বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ৩ দ. আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আজও দুই গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা

এশিয়ার চ্যাম্পিয়নদের পরবর্তী টার্গেট বিশ্বকাপ

কথায় আছে না, প্রাপ্তির আনন্দ দ্বিগুন তখন-ই হয় যখন তা ধরে রাখা যায়। অর্জনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তা রক্ষা করা। বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটাররা তেমন কিছুই করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

২০২৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দল জিতেছিল এশিয়া কাপের মুকুট। হারিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। ২০২৪ সালেও তা ধরে রাখল যুবারা। ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ ধরে রেখেছে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। অর্জিত সেই মুকুট নিয়ে সোমবার রাতে বাংলাদেশে পা রেখেছে বাংলাদেশ।

বিজয়ী দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম জানালেন, শিরোপা ধরে রাখার যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারা দেশ ছেড়েছিলেন, তা পূরণ করতে পারায় আনন্দটা বেড়ে গেছে দ্বিগুন। বিমানবন্দরে আজিজুল অর্জিত শিরোপা সঙ্গে নিয়ে বলেছেন, ‘‘এশিয়া কাপ ধরে রাখা আমাদের মূল বিষয় ছিল। আমরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। এবারও তা ধরে রেখেছি এটা বড় বিষয় ছিল। এটা ভালো লাগছে।’’

‘‘পুরো টুর্নামেন্টে আমরা ভালো খেলেছি। সেমিফাইনালে আমরা যেভাবে কামব্যাক করেছি ওই আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল যে আমরা ভালো কিছু করবো।’’

লম্বা সময় ধরে নিজেদের প্রস্তুত করেছেন আজিজুল হাকিমরা। নিয়মিত ক্যাম্প, ম্যাচ খেলা, ফিটনেস ট্রেনিং, স্কিল ডেভেলাপমেন্ট সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ক্রিকেটাররাও দিয়েছেন প্রতিদান। নিজেদের কষ্ট কাজে লাগার আনন্দ ফুটে উঠল আজিজুলের কণ্ঠে, ‘‘জার্নি স্টার্ট হয়েছে একটা। এর পেছনে অনেক কষ্ট ছিল। আল্লাহ এখন এখানে রেখেছে, ওভারঅল সবদিক থেকে ভালো লাগছে। যে কষ্টটা করেছি, অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ ও ১৯; আল্লাহ হয়তো ওইটারই ফল দিয়েছেন।’’

ফাইনালের শিরোপা আজিজুল উৎসর্গ করেছেন প্রিয় মার্তৃভূমিকে, ‘‘জয়টা বাংলাদেশকেই উৎসর্গ করেছি। দেশের জন্যই খেলছি।এটা খুব গর্বের বিষয়। জয়টা দেশের জন্যই।’’

নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে অধিনায়কের ভাষ্য, ‘‘ওভারঅল সবকিছু ভালো ছিল। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে আমরা ভালো করেছি। দলের যারা ছিল প্রত্যেকে ভালো করেছে। এজন্য আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা ভারতকে হারিয়েছিলাম। ওইটার আত্মবিশ্বাস তো ছিল। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি।’’

টানা দুইবার এশিয়া কাপের শিরোপা জেতা দলটা থেমে যেতে চান না এখানেই। আরো বড় লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে চান। তাদের পরবর্তী টার্গেট যুব বিশ্বকাপ। যেটা ২০২০ সালে জিতেছিল আকবর আলীরা। সেই শিরোপা পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন আজিজুলরা। নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘সামনে আমাদের বিশ্বকাপ আছে। সেখানেও ভালো কিছু করার ইচ্ছে আছে। আমাদের সেভাবেই পরিকল্পনা করা আছে। সামগ্রিকভাবে সবকিছু ভালো আছে।বিশ্বকাপ একটা বড় মঞ্চ। আমরা চেষ্টা করবো অবশ্যই।’’

‘‘এশিয়া কাপ জিতেছি, এটা অবশ্যই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। পাকিস্তান এবং ভারতের মতো দলকে যদি হারান আত্মবিশ্বাস আরেকটু বেড়ে যায়। সামনে এই আত্মবিশ্বাসটাই ধরে রাখার চেষ্টা করবো। সামনে যে এশিয়া সিরিজ এবং বিশ্বকাপ আছে সেখানে এই আত্মবিশ্বাস কাজে আসবে।’’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহী নিহত

এশিয়ার চ্যাম্পিয়নদের পরবর্তী টার্গেট বিশ্বকাপ

আপডেট টাইম : ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

কথায় আছে না, প্রাপ্তির আনন্দ দ্বিগুন তখন-ই হয় যখন তা ধরে রাখা যায়। অর্জনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তা রক্ষা করা। বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটাররা তেমন কিছুই করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

২০২৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দল জিতেছিল এশিয়া কাপের মুকুট। হারিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। ২০২৪ সালেও তা ধরে রাখল যুবারা। ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ ধরে রেখেছে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। অর্জিত সেই মুকুট নিয়ে সোমবার রাতে বাংলাদেশে পা রেখেছে বাংলাদেশ।

বিজয়ী দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম জানালেন, শিরোপা ধরে রাখার যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারা দেশ ছেড়েছিলেন, তা পূরণ করতে পারায় আনন্দটা বেড়ে গেছে দ্বিগুন। বিমানবন্দরে আজিজুল অর্জিত শিরোপা সঙ্গে নিয়ে বলেছেন, ‘‘এশিয়া কাপ ধরে রাখা আমাদের মূল বিষয় ছিল। আমরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। এবারও তা ধরে রেখেছি এটা বড় বিষয় ছিল। এটা ভালো লাগছে।’’

‘‘পুরো টুর্নামেন্টে আমরা ভালো খেলেছি। সেমিফাইনালে আমরা যেভাবে কামব্যাক করেছি ওই আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল যে আমরা ভালো কিছু করবো।’’

লম্বা সময় ধরে নিজেদের প্রস্তুত করেছেন আজিজুল হাকিমরা। নিয়মিত ক্যাম্প, ম্যাচ খেলা, ফিটনেস ট্রেনিং, স্কিল ডেভেলাপমেন্ট সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ক্রিকেটাররাও দিয়েছেন প্রতিদান। নিজেদের কষ্ট কাজে লাগার আনন্দ ফুটে উঠল আজিজুলের কণ্ঠে, ‘‘জার্নি স্টার্ট হয়েছে একটা। এর পেছনে অনেক কষ্ট ছিল। আল্লাহ এখন এখানে রেখেছে, ওভারঅল সবদিক থেকে ভালো লাগছে। যে কষ্টটা করেছি, অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ ও ১৯; আল্লাহ হয়তো ওইটারই ফল দিয়েছেন।’’

ফাইনালের শিরোপা আজিজুল উৎসর্গ করেছেন প্রিয় মার্তৃভূমিকে, ‘‘জয়টা বাংলাদেশকেই উৎসর্গ করেছি। দেশের জন্যই খেলছি।এটা খুব গর্বের বিষয়। জয়টা দেশের জন্যই।’’

নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে অধিনায়কের ভাষ্য, ‘‘ওভারঅল সবকিছু ভালো ছিল। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে আমরা ভালো করেছি। দলের যারা ছিল প্রত্যেকে ভালো করেছে। এজন্য আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা ভারতকে হারিয়েছিলাম। ওইটার আত্মবিশ্বাস তো ছিল। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি।’’

টানা দুইবার এশিয়া কাপের শিরোপা জেতা দলটা থেমে যেতে চান না এখানেই। আরো বড় লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে চান। তাদের পরবর্তী টার্গেট যুব বিশ্বকাপ। যেটা ২০২০ সালে জিতেছিল আকবর আলীরা। সেই শিরোপা পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন আজিজুলরা। নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘সামনে আমাদের বিশ্বকাপ আছে। সেখানেও ভালো কিছু করার ইচ্ছে আছে। আমাদের সেভাবেই পরিকল্পনা করা আছে। সামগ্রিকভাবে সবকিছু ভালো আছে।বিশ্বকাপ একটা বড় মঞ্চ। আমরা চেষ্টা করবো অবশ্যই।’’

‘‘এশিয়া কাপ জিতেছি, এটা অবশ্যই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। পাকিস্তান এবং ভারতের মতো দলকে যদি হারান আত্মবিশ্বাস আরেকটু বেড়ে যায়। সামনে এই আত্মবিশ্বাসটাই ধরে রাখার চেষ্টা করবো। সামনে যে এশিয়া সিরিজ এবং বিশ্বকাপ আছে সেখানে এই আত্মবিশ্বাস কাজে আসবে।’’