ঢাকা , শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে যা যা ব্যবহার করতে পারেন

শীত বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে ত্বকে শুষ্কতা। ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়লে লালচে ভাব, রুক্ষতা ও চুলকানির মতো সমস্যা বেড়ে যায়। এসব সমস্যা দূর করতে যেসব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন, জেনে নিন।

অ্যালোভেরা: ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়াতে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে অ্যালোভেরা। প্রাকৃতিক এই উপাদান ত্বকের জন্য উপকারি। অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে, এটি ভেতর থেকে আর্দ্রতা বা হাইড্রেশন দেয়। এর ফলে ত্বকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ময়েশ্চারাইজার থাকে। পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নারকেলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারে। এই মিশ্রণ মুখের ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।  শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে।

গোলাপ জল: ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে ও সুন্দর করে তুলতে গোলাপ জল ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি যদি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারে গোলাপ জল। রূপচর্চাবিদরা বলেন, শুষ্ক ত্বকের জন্য গোলাপজল বেশ উপকারী ময়েশ্চারাইজার। গোলাপজল মুখে স্প্রে করতে পারেন অথবা আলতো হাতে মালিশ করে নিতে পারেন।  রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গেও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে মাখতে পারেন। তাহলে সহজেই ত্বকের সঙ্গে মিশে যাবে গোলাপজল।

মধু: শীতকালে ত্বক বার বার শুষ্ক হয়ে যায়। শুষ্কতা দূর করতে একসঙ্গে মধু এবং গ্লিসারিনের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এই দুই উপাদান ত্বকে লাগালে ত্বক ভেতর থেকে হাইড্রেশন পায়। শুধু তাই না, এর ব্যবহারে আপনার ত্বকের গঠনও উন্নত হয়। এ ছাড়া পাকা পেঁপের পেস্ট করে মধুর সাথে মিশিয়ে ত্বকে  ১৫ মিনিট ম্যাসেজ করে নিতে পারেন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এই প্যাকটি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে ত্বকে কোমলতা বজায় থাকবে, শুষ্কতা দূর হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে যা যা ব্যবহার করতে পারেন

আপডেট টাইম : ০৫:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শীত বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে ত্বকে শুষ্কতা। ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়লে লালচে ভাব, রুক্ষতা ও চুলকানির মতো সমস্যা বেড়ে যায়। এসব সমস্যা দূর করতে যেসব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন, জেনে নিন।

অ্যালোভেরা: ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়াতে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে অ্যালোভেরা। প্রাকৃতিক এই উপাদান ত্বকের জন্য উপকারি। অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে, এটি ভেতর থেকে আর্দ্রতা বা হাইড্রেশন দেয়। এর ফলে ত্বকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ময়েশ্চারাইজার থাকে। পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নারকেলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারে। এই মিশ্রণ মুখের ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।  শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে।

গোলাপ জল: ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে ও সুন্দর করে তুলতে গোলাপ জল ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি যদি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারে গোলাপ জল। রূপচর্চাবিদরা বলেন, শুষ্ক ত্বকের জন্য গোলাপজল বেশ উপকারী ময়েশ্চারাইজার। গোলাপজল মুখে স্প্রে করতে পারেন অথবা আলতো হাতে মালিশ করে নিতে পারেন।  রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গেও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে মাখতে পারেন। তাহলে সহজেই ত্বকের সঙ্গে মিশে যাবে গোলাপজল।

মধু: শীতকালে ত্বক বার বার শুষ্ক হয়ে যায়। শুষ্কতা দূর করতে একসঙ্গে মধু এবং গ্লিসারিনের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এই দুই উপাদান ত্বকে লাগালে ত্বক ভেতর থেকে হাইড্রেশন পায়। শুধু তাই না, এর ব্যবহারে আপনার ত্বকের গঠনও উন্নত হয়। এ ছাড়া পাকা পেঁপের পেস্ট করে মধুর সাথে মিশিয়ে ত্বকে  ১৫ মিনিট ম্যাসেজ করে নিতে পারেন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এই প্যাকটি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে ত্বকে কোমলতা বজায় থাকবে, শুষ্কতা দূর হবে।