ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জার্মানির পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট, আগাম নির্বাচন ঘোষণা

জার্মানির পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্ক-ওয়ালটার স্টেইনমার।গতকাল শুক্রবার সংসদ ভেঙে দিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারিতে নতুন নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন।দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের প্রশাসনিক জোটের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই ঘোষণা দেন।

চলতি বছরের ৬ নভেম্বরে শোলজের জনপ্রিয়তাহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ হিসেবে কুখ্যাত তিন-দলীয় জোটের পতনের পর ১৬ ডিসেম্বরে আস্থা ভোটে হেরে যান তিনি এবং বর্তমানে একটি সংখ্যালঘিষ্ঠ সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শোলজ। জার্মানির অচল অর্থনীতিকে কীভাবে চাঙ্গা করা যায়, তা নিয়ে বিতর্ককে ঘিরে শোলজ তার অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছিলেন ৬ নভেম্বরেই।

বেশ কয়েকটি প্রধান দলের নেতা তখন সম্মত হয়েছিলেন যে, সংসদীয় নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারিতে আয়োজন করা উচিত; অর্থাৎ পূর্ব-পরিকল্পিত তারিখের ৭ মাস আগে।

সংসদ বানচাল করে নির্বাচন আহ্বান করা হবে কি না তা নির্ভর করছিল স্টেইনমারের সিদ্ধান্তের উপর। এই সিদ্ধান্ত নিতে তিনি ২১ দিন সময় পান। সংসদ একবার ভেঙ্গে দিলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতেই হবে।

বাস্তবে নির্বাচনী প্রচার ইতোমধ্যেই তুঙ্গে। একাধিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ফ্রেডারিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল বিরোধী ইউনিয়ন ব্লকের পিছনে রয়েছে শোলজের দল। পরিবেশবাদী গ্রিনসের ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক (শোলজ সরকারের অবশিষ্ট জোটসঙ্গী) ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করছেন। যদিও তার দল অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।

সম্প্রতি নির্বাচন যদি অনুষ্ঠিত হয় তাহলে অন্তত একটি দলের সমর্থন নিয়ে পরবর্তী জোট সরকারের চ্যান্সেলর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মার্জের। এই নির্বাচনের প্রধান ইস্যুগুলির মধ্যে রয়েছে অভিবাসন, কীভাবে মন্থর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যায় এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে কিয়েভকে কত বেশি পরিমাণে সাহায্য করা সম্ভব ইত্যাদি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

জার্মানির পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট, আগাম নির্বাচন ঘোষণা

আপডেট টাইম : ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

জার্মানির পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্ক-ওয়ালটার স্টেইনমার।গতকাল শুক্রবার সংসদ ভেঙে দিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারিতে নতুন নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন।দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের প্রশাসনিক জোটের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই ঘোষণা দেন।

চলতি বছরের ৬ নভেম্বরে শোলজের জনপ্রিয়তাহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ হিসেবে কুখ্যাত তিন-দলীয় জোটের পতনের পর ১৬ ডিসেম্বরে আস্থা ভোটে হেরে যান তিনি এবং বর্তমানে একটি সংখ্যালঘিষ্ঠ সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শোলজ। জার্মানির অচল অর্থনীতিকে কীভাবে চাঙ্গা করা যায়, তা নিয়ে বিতর্ককে ঘিরে শোলজ তার অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছিলেন ৬ নভেম্বরেই।

বেশ কয়েকটি প্রধান দলের নেতা তখন সম্মত হয়েছিলেন যে, সংসদীয় নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারিতে আয়োজন করা উচিত; অর্থাৎ পূর্ব-পরিকল্পিত তারিখের ৭ মাস আগে।

সংসদ বানচাল করে নির্বাচন আহ্বান করা হবে কি না তা নির্ভর করছিল স্টেইনমারের সিদ্ধান্তের উপর। এই সিদ্ধান্ত নিতে তিনি ২১ দিন সময় পান। সংসদ একবার ভেঙ্গে দিলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতেই হবে।

বাস্তবে নির্বাচনী প্রচার ইতোমধ্যেই তুঙ্গে। একাধিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ফ্রেডারিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল বিরোধী ইউনিয়ন ব্লকের পিছনে রয়েছে শোলজের দল। পরিবেশবাদী গ্রিনসের ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক (শোলজ সরকারের অবশিষ্ট জোটসঙ্গী) ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করছেন। যদিও তার দল অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।

সম্প্রতি নির্বাচন যদি অনুষ্ঠিত হয় তাহলে অন্তত একটি দলের সমর্থন নিয়ে পরবর্তী জোট সরকারের চ্যান্সেলর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মার্জের। এই নির্বাচনের প্রধান ইস্যুগুলির মধ্যে রয়েছে অভিবাসন, কীভাবে মন্থর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যায় এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে কিয়েভকে কত বেশি পরিমাণে সাহায্য করা সম্ভব ইত্যাদি।