ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

যাযাবরদের পাল্টে দিচ্ছে জলবায়ু

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ভয়ংকর শীত আর শুষ্ক গ্রীষ্ম মঙ্গোলিয়ার যাযাবর পশুপালকদের জীবনে আনছে পরিবর্তন৷ প্রতিকূল অবস্থা থেকে নিজেদের ও পশুর পাল রক্ষার জন্য একত্রিত হচ্ছে বিভিন্ন যাযাবর সম্প্রদায়৷

শত শত বছর ধরে বিশাল স্তেপ অঞ্চলে পশুর পাল চড়িয়ে বেড়িয়েছে মঙ্গোলিয়ার যাযাবর সম্প্রদায়৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এটাই তাদের জীবনধারা৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তন আসছে এই স্তেপ অঞ্চলেও৷ ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই জীবনধারাও পালটাতে হচ্ছে মঙ্গোলিয়ার নোমাডদের৷ পরিস্থিতি দিনদিন প্রতিকূল হয়ে উঠছে, বেশিরভাগ সময়ই আবহাওয়া থাকছে চরমে৷

বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে মঙ্গোলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে দ্রুততর৷ ‘‘গত ৭০ বছরে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট)৷ এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা হ্রাসের রেকর্ডগুলোর একটি“, বলছিলেন সারুল খুদু পরিবেশ গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টোঙ্গা উলামবায়ার৷

তিনি বলেন, ‘‘এই শতকের শেষ দিকে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে৷ তীব্র শীতের পরিমাণ দিনদিন, যা মঙ্গোলিয়ায় ‘জুদ` নামে পরিচিত৷ কোনো কোনো এলাকায় গ্রীষ্মে ভয়াবহ বৃষ্টি হচ্ছে, কোথাও আবার শীতকালে ঝড় হচ্ছে৷“

পশুপালনের ওপর নির্ভরশীল পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকটি দেশের একটি মঙ্গোলিয়া৷ দেশটির অর্থনীতি নির্ভর করে পশুসম্পদের ওপর এবং ৮০ শতাংশ অঞ্চলই তৃণভূমি৷

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদেরও অবশেষে পালটাতে বাধ্য হচ্ছে যাযাবররা৷ কিছু পশুপালক সম্প্রদায় বড় একটি সম্প্রদায়ে একত্রিত হচ্ছে৷ তাঁদের আশা, এর ফলে কিছুটা পরিবর্তন আনলেও ঐতিহ্যবাহী যাযাবর জীবন ধরে রাখার আশা করছেন তাঁরা৷

ঝুঁকিতে চারণভূমি

মঙ্গোলিয়ার ২৮ শতাংশ নাগরিক দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে৷ এদের মধ্যেও অনেকে শুধু কোনোরকমে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছেন৷ একদিকে, কিছু অংশের চরম দারিদ্র্য, অন্যদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ায় চারণভূমি নষ্ট হওয়ায় পরিস্থিতি হয়ে উঠছে আরো ভয়াবহ৷ জলবায়ু পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত পশুচারণের ফলে চারণভূমি আরো হুমকিতে পড়বে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

“স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক সেন্টিমিটার বেশি বরফ পড়লে ঘাস চাপা পড়ে যায়৷ মঙ্গোলিয়ায় পশুর মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ এটি“, বলছেন উলামবায়ার৷

তিনি বলেন, ‘‘যাযাবররা অন্য জেলায় চলে যেতে বাধ্য হয়, এর ফলে ঐ অঞ্চলের সম্প্রদায় এবং চারণভূমির ওপরও চাপ পড়ে৷ অনেকেই তখন শহরে চলে যেতে বাধ্য হয়৷

এদিকে চাপ বাড়তে থাকায় দ্রুত নগরায়নের বিরূপ প্রভাব পড়েছে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটারে৷ এর মধ্যে অন্যতম বায়ু দূষণ৷

‘জুদ`-এর প্রভাবে ১৯৯৯ -২০০০ সালের শীতে দেশটি ৩০ শতাংশ পশুসম্পদ হারায়৷ বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র ‘ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট`-এ উলামবায়ার উল্লেখ করেছেন ২০০৯ সালের ‘জুদ`-এ প্রাণ হারিয়েছে দেশটির ২০ শতাংশ পশু, সংখ্যায় এর পরিমাণ ২০ লাখেরও বেশি৷

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘জুদ`-এর পরিমাণ বাড়ছে বলে আশংকা করা হয়েছে গবেষণায়৷ যাযাবরেরা আরো ছোটখাট পরিবর্তনও টের পাচ্ছেন৷ বিভিন্ন নদীতে পানির পরিমাণ কমে আসার কথা জানিয়েছেন তারা৷

অনেক নোমাডই ‘নেগডেল` শাসনের কথা ভুলতে পারেননি৷ দেশটি যখন সমাজতান্ত্রিক সরকারের অধীনে ছিল, তখন সমস্ত চারণভূমিও ছিল রাষ্ট্রের মালিকানায়৷ সবাইকে সমানভাবে পশুচারণের অধিকার দেয়া হতো, এমনকি কোন সম্প্রদায় কোন পথ ধরে যাবে, সেটিও ঠিক করে দেয়া হতো৷ ফলে কোনো একটি অঞ্চলের ওপর বেশি চাপ কখনই পড়তো না৷ সামাজিক সেবা, পশুর চিকিৎসা, এবং জুদের সময় সরকারি ত্রাণের কথাও ভুলেননি যাযাবররা৷

কিন্তু ১৯৯০ সালে দেশটিতে সমাজতন্ত্রের পতনের পর এই ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়ে যায়, শুরু হয় বাজার নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির যুগ৷

এর আগে উৎপাদন বাড়ানোর চিন্তা ছিলো না পশুপালকদের৷ মাস শেষে সবাই পেত নির্ধারিত ভাতা, এবং সামাজিক সেবা৷ কিন্তু এখন কাশ্মিরি লাভজনক হওয়ায় ১৯৬০ সালের তুলনায় প্রায় ৫ গুণ কাশ্মিরি উৎপাদন করেন পশুপালকরা৷

শক্তিশালী সম্প্রদায়

২০০০ সালের ভয়াবহ শীতের পর একসাথে থাকার কথা চিন্তা করা শুরু করেছেন মঙ্গোলিয়ার যাযাবররা৷ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় প্রাকৃতিক সম্পদ ও চারণভূমি সংরক্ষণে সম্প্রদায় গড়ে তুলছে তারা৷ গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একত্রিত হয়ে পশুসম্পদ রক্ষা করছেন, শীতে তাদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে অন্যদের তুলনায় কম৷

সম্প্রদায়ে থাকলে অনেক সামাজিক সহায়তাও পাওয়া যায়৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় অনেক সম্প্রদায় গড়ে তুলছে নিজেদের তহবিল৷

যাযাবরদের সুদীর্ঘ ইতিহাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসলেও ভবিষ্যত পরিবর্তন মোকাবেলায় এর বিকল্প দেখছেন না অনেকেই৷

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা

যাযাবরদের পাল্টে দিচ্ছে জলবায়ু

আপডেট টাইম : ০১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ভয়ংকর শীত আর শুষ্ক গ্রীষ্ম মঙ্গোলিয়ার যাযাবর পশুপালকদের জীবনে আনছে পরিবর্তন৷ প্রতিকূল অবস্থা থেকে নিজেদের ও পশুর পাল রক্ষার জন্য একত্রিত হচ্ছে বিভিন্ন যাযাবর সম্প্রদায়৷

শত শত বছর ধরে বিশাল স্তেপ অঞ্চলে পশুর পাল চড়িয়ে বেড়িয়েছে মঙ্গোলিয়ার যাযাবর সম্প্রদায়৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এটাই তাদের জীবনধারা৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তন আসছে এই স্তেপ অঞ্চলেও৷ ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই জীবনধারাও পালটাতে হচ্ছে মঙ্গোলিয়ার নোমাডদের৷ পরিস্থিতি দিনদিন প্রতিকূল হয়ে উঠছে, বেশিরভাগ সময়ই আবহাওয়া থাকছে চরমে৷

বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে মঙ্গোলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে দ্রুততর৷ ‘‘গত ৭০ বছরে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট)৷ এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা হ্রাসের রেকর্ডগুলোর একটি“, বলছিলেন সারুল খুদু পরিবেশ গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টোঙ্গা উলামবায়ার৷

তিনি বলেন, ‘‘এই শতকের শেষ দিকে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে৷ তীব্র শীতের পরিমাণ দিনদিন, যা মঙ্গোলিয়ায় ‘জুদ` নামে পরিচিত৷ কোনো কোনো এলাকায় গ্রীষ্মে ভয়াবহ বৃষ্টি হচ্ছে, কোথাও আবার শীতকালে ঝড় হচ্ছে৷“

পশুপালনের ওপর নির্ভরশীল পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকটি দেশের একটি মঙ্গোলিয়া৷ দেশটির অর্থনীতি নির্ভর করে পশুসম্পদের ওপর এবং ৮০ শতাংশ অঞ্চলই তৃণভূমি৷

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদেরও অবশেষে পালটাতে বাধ্য হচ্ছে যাযাবররা৷ কিছু পশুপালক সম্প্রদায় বড় একটি সম্প্রদায়ে একত্রিত হচ্ছে৷ তাঁদের আশা, এর ফলে কিছুটা পরিবর্তন আনলেও ঐতিহ্যবাহী যাযাবর জীবন ধরে রাখার আশা করছেন তাঁরা৷

ঝুঁকিতে চারণভূমি

মঙ্গোলিয়ার ২৮ শতাংশ নাগরিক দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে৷ এদের মধ্যেও অনেকে শুধু কোনোরকমে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছেন৷ একদিকে, কিছু অংশের চরম দারিদ্র্য, অন্যদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ায় চারণভূমি নষ্ট হওয়ায় পরিস্থিতি হয়ে উঠছে আরো ভয়াবহ৷ জলবায়ু পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত পশুচারণের ফলে চারণভূমি আরো হুমকিতে পড়বে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

“স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক সেন্টিমিটার বেশি বরফ পড়লে ঘাস চাপা পড়ে যায়৷ মঙ্গোলিয়ায় পশুর মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ এটি“, বলছেন উলামবায়ার৷

তিনি বলেন, ‘‘যাযাবররা অন্য জেলায় চলে যেতে বাধ্য হয়, এর ফলে ঐ অঞ্চলের সম্প্রদায় এবং চারণভূমির ওপরও চাপ পড়ে৷ অনেকেই তখন শহরে চলে যেতে বাধ্য হয়৷

এদিকে চাপ বাড়তে থাকায় দ্রুত নগরায়নের বিরূপ প্রভাব পড়েছে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটারে৷ এর মধ্যে অন্যতম বায়ু দূষণ৷

‘জুদ`-এর প্রভাবে ১৯৯৯ -২০০০ সালের শীতে দেশটি ৩০ শতাংশ পশুসম্পদ হারায়৷ বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র ‘ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট`-এ উলামবায়ার উল্লেখ করেছেন ২০০৯ সালের ‘জুদ`-এ প্রাণ হারিয়েছে দেশটির ২০ শতাংশ পশু, সংখ্যায় এর পরিমাণ ২০ লাখেরও বেশি৷

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘জুদ`-এর পরিমাণ বাড়ছে বলে আশংকা করা হয়েছে গবেষণায়৷ যাযাবরেরা আরো ছোটখাট পরিবর্তনও টের পাচ্ছেন৷ বিভিন্ন নদীতে পানির পরিমাণ কমে আসার কথা জানিয়েছেন তারা৷

অনেক নোমাডই ‘নেগডেল` শাসনের কথা ভুলতে পারেননি৷ দেশটি যখন সমাজতান্ত্রিক সরকারের অধীনে ছিল, তখন সমস্ত চারণভূমিও ছিল রাষ্ট্রের মালিকানায়৷ সবাইকে সমানভাবে পশুচারণের অধিকার দেয়া হতো, এমনকি কোন সম্প্রদায় কোন পথ ধরে যাবে, সেটিও ঠিক করে দেয়া হতো৷ ফলে কোনো একটি অঞ্চলের ওপর বেশি চাপ কখনই পড়তো না৷ সামাজিক সেবা, পশুর চিকিৎসা, এবং জুদের সময় সরকারি ত্রাণের কথাও ভুলেননি যাযাবররা৷

কিন্তু ১৯৯০ সালে দেশটিতে সমাজতন্ত্রের পতনের পর এই ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়ে যায়, শুরু হয় বাজার নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির যুগ৷

এর আগে উৎপাদন বাড়ানোর চিন্তা ছিলো না পশুপালকদের৷ মাস শেষে সবাই পেত নির্ধারিত ভাতা, এবং সামাজিক সেবা৷ কিন্তু এখন কাশ্মিরি লাভজনক হওয়ায় ১৯৬০ সালের তুলনায় প্রায় ৫ গুণ কাশ্মিরি উৎপাদন করেন পশুপালকরা৷

শক্তিশালী সম্প্রদায়

২০০০ সালের ভয়াবহ শীতের পর একসাথে থাকার কথা চিন্তা করা শুরু করেছেন মঙ্গোলিয়ার যাযাবররা৷ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় প্রাকৃতিক সম্পদ ও চারণভূমি সংরক্ষণে সম্প্রদায় গড়ে তুলছে তারা৷ গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একত্রিত হয়ে পশুসম্পদ রক্ষা করছেন, শীতে তাদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে অন্যদের তুলনায় কম৷

সম্প্রদায়ে থাকলে অনেক সামাজিক সহায়তাও পাওয়া যায়৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় অনেক সম্প্রদায় গড়ে তুলছে নিজেদের তহবিল৷

যাযাবরদের সুদীর্ঘ ইতিহাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসলেও ভবিষ্যত পরিবর্তন মোকাবেলায় এর বিকল্প দেখছেন না অনেকেই৷