যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ। দেশটির হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলায় লড়ছিলেন তিনি। চলতি মাসের শেষের দিকে ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণের আগেই বিচার বিভাগ ছাড়লেন স্মিথ। আদালতে শনিবার দাখিল করা একটি নথিতে বলা হয়েছে- গত শুক্রবার জ্যাক স্মিথ বিচার বিভাগ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ গত নভেম্বরে এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজের কাজগুলো শেষ হওয়ার পর জ্যাক স্মিথ বিচার বিভাগ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। ট্রাম্পের গোপন নথিসংক্রান্ত মামলায় স্মিথের করা তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই তাঁর পদ ছাড়ার কথা জানা গেল।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মার্কিন বিচার বিভাগের দুটি মামলার বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে ২০২২ সালে নিয়োগ পান জ্যাক স্মিথ। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গায় উসকানি দেওয়া ও সরকারি গোপন নথি সরানোর অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওই মামলা দুটি করা হয়েছিল। দুটি মামলাতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও ট্রাম্প বরাবর অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। দাবি করেছেন, মামলাগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
গত বছর ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মামলা দুটির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। কৌঁসুলিরা লিখিতভাবে জানান, বিচার বিভাগের নিয়মকানুনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নভেম্বরে সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্যাক স্মিথ পদত্যাগ করতে পারেন। ট্রাম্প বা তার নতুন প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল কর্তৃক বরখাস্ত হওয়ার আগেই পদত্যাগের সুযোগ পাবেন তিনি।
ট্রাম্প একসময় বলেছিলেন, হোয়াইট হাউসে বসার ‘দুই সেকেন্ডের মধ্যে’ জ্যাক স্মিথকে চাকরিচ্যুত করবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় ফিরছেন ট্রাম্প। এর মধ্যেই পদত্যাগের কথা জানালেন স্মিথ। এদিকে ট্রাম্পের আসন্ন ২০ জানুয়ারির অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন।
তার মুখপাত্র পাউলা পিনহো জানান, মার্কিন নির্বাচনের পর পরই প্রেসিডেন্ট ভন ডার লেইন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে একটি ফোনালাপ হয়েছিল। তবে এর পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
ট্রাম্পের ২০১৭-২১ সালের প্রথম মেয়াদে, তিনি প্রায়ই ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা করতেন এবং দাবি করতেন তাদের নিজেদের প্রতিরক্ষায় আরও বেশি অবদান রাখা উচিত।
অনেকের মতে, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে বের করে আনার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন। ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।