ঢাকা , সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বছরে ১৩ লাখ কোটি টাকার খাবার নষ্ট হয় সৌদি আরবে

সৌদি আরবে খাবার অপচয় ঠেকাতে জরিপ কমিটি গঠন করেছে দেশটির সরকার।সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বছরে একজন ব্যক্তি ১৮৪ কেজি খাবার অপচয় করেন, টাকার হিসেবে মোট জনসংখ্যার খাবার অপচয়ের পরিমাণ ৪ হাজার কোটি সৌদি রিয়াল, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খাবার অপচয় ঠেকাতে ও জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কমিটি গঠন করেছে খাদ্য নিরাপত্তা কমিটি।(জিএফএসএ)।  কমিটির গভর্নর আহমেদ আল ফারেস বলেন, নতুন জরিপের মাধ্যমে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করা হবে। ‘ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর রিডিউসিং ফুড লস অ্যান্ড ওয়েস্ট’ প্রকল্প িএর সঙ্গে এই কমিটি সমন্বয় করে কাজ করবে।

স্থানীয় উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন থেকে শুরু করে সব খাতে কি পরিমান খাবার নষ্ট হয় সেটাও এই জরিপে তুলে ধরা হবে। খাদ্য গ্রহণের আগে ও পরে অপচয়ের হিসাব তৈরি করাই হবে এই জরিপের মূল উদ্দেশ্য। এই তথ্য ব্যবহার করেই বাস্তবিক একটি সমাধান খুঁজে বের করবে জিএফএসএ।

আল ফারেস বলেন, ‘কীভাবে কার্যকরী কৌশলের মাধ্যমে টেকসই সমাধান আনা যায় সেটা খতিয়ে দেখবে কর্তৃপক্ষ।’

সৌদি পরিবেশ, পানি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের গত বছরের হিসেব অনুযায়ী, চাল, গম ও রুটি সবচেয়ে বেশি অপচয় হয়। এর মধ্যে শুধু ভাতই অপচয় হয় ৩৪ শতাংশ। ময়দা ও রুটি হয় মোট ৩০ শতাংশ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বছরে ১৩ লাখ কোটি টাকার খাবার নষ্ট হয় সৌদি আরবে

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে

সৌদি আরবে খাবার অপচয় ঠেকাতে জরিপ কমিটি গঠন করেছে দেশটির সরকার।সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বছরে একজন ব্যক্তি ১৮৪ কেজি খাবার অপচয় করেন, টাকার হিসেবে মোট জনসংখ্যার খাবার অপচয়ের পরিমাণ ৪ হাজার কোটি সৌদি রিয়াল, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খাবার অপচয় ঠেকাতে ও জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কমিটি গঠন করেছে খাদ্য নিরাপত্তা কমিটি।(জিএফএসএ)।  কমিটির গভর্নর আহমেদ আল ফারেস বলেন, নতুন জরিপের মাধ্যমে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করা হবে। ‘ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর রিডিউসিং ফুড লস অ্যান্ড ওয়েস্ট’ প্রকল্প িএর সঙ্গে এই কমিটি সমন্বয় করে কাজ করবে।

স্থানীয় উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন থেকে শুরু করে সব খাতে কি পরিমান খাবার নষ্ট হয় সেটাও এই জরিপে তুলে ধরা হবে। খাদ্য গ্রহণের আগে ও পরে অপচয়ের হিসাব তৈরি করাই হবে এই জরিপের মূল উদ্দেশ্য। এই তথ্য ব্যবহার করেই বাস্তবিক একটি সমাধান খুঁজে বের করবে জিএফএসএ।

আল ফারেস বলেন, ‘কীভাবে কার্যকরী কৌশলের মাধ্যমে টেকসই সমাধান আনা যায় সেটা খতিয়ে দেখবে কর্তৃপক্ষ।’

সৌদি পরিবেশ, পানি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের গত বছরের হিসেব অনুযায়ী, চাল, গম ও রুটি সবচেয়ে বেশি অপচয় হয়। এর মধ্যে শুধু ভাতই অপচয় হয় ৩৪ শতাংশ। ময়দা ও রুটি হয় মোট ৩০ শতাংশ।