দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট নিয়ে অস্থিরতা কাটছেই না। এরই মাঝে বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে তার। ফলে নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে দেশটিতে।
আজ মঙ্গলবার দেশটির সরকার জানিয়েছে, অভিশংসিত হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্তকৃত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি পাবে। ইউনের বেতন ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৭৯ হাজার ডলার হবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২ কোটি টাকার বেশি।
তিনি সাময়িকভাবে দেশে সামরিক আইন জারি করার কারণে অভিশংসনের সম্মুখীন হয়েছেন। ডিসেম্বরে অভিশংসিত হওয়ার পর থেকে ইউন অভ্যুত্থান ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তদন্ত এবং গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করেছেন। এ ঘটনায় দেশটি আরও গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে।
দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হলেও সাংবিধানিক আদালত তার অভিশংসন নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত ইউন প্রেসিডেন্টের পদে বহাল থাকবেন।
ইউন ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ এবং উত্তর কোরিয়ার হুমকির কথা উল্লেখ করে সামরিক আইন জারি করার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তবে এটি পরবর্তীতে স্পষ্ট হয় যে, তার এই পদক্ষেপ বাহ্যিক হুমকির কারণে নয় বরং নিজস্ব রাজনৈতিক সমস্যার জন্য।
ইউনের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, বরখাস্ত থাকা অবস্থায় তিনি কিভাবে বেতন পাচ্ছেন, তার ওপর আবার বেতন বৃদ্ধি কীভাবে সম্ভব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন যে, ইউনের ৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি দেশের ন্যূনতম মজুরির বৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণ।
একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘ন্যূনতম মজুরি মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে, আর ইউনের জন্য ৩ শতাংশ কেন?’
এই মাসের শুরুতে, ইউনের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে প্রবেশে বাধা দেয়। এই অবস্থায় ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তবে স্থানীয় আদালত তা বাড়িয়ে দেয়। তদন্তকারীরা ইউনকে গ্রেপ্তারে পুনরায় চেষ্টা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন।