ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা: গৃহকর্মী ও নৈশ প্রহরীকে খুঁজছে পুলিশ

নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে উৎপল রায় নামে এক ব্যবসায়ীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই বাড়ির নৈশ প্রহরী ও ফ্ল্যাটের গৃহকর্মীকে পুলিশ খুঁজছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে টানবাজারে সাহাপাড়ায় অবস্থিত শংকর সাহার মালিকানাধীন ৭ তলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতউৎপল রায় একজন ব্যবসায়ী বলে জানায় পুলিশ। তার ছোট ছেলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেনের চিকিৎসক উজ্জ্বল কুমার রায়কে নিয়ে সাহাপাড়ার ওই ফ্ল্যাটর ভাড়া থাকতেন তিনি। তার বড় ছেলে প্রবাসী প্রকৌশলী।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন উৎপল রায়। রাত নয়টার দিকে ওই ফ্ল্যাট থেকে গৃহকর্মীকে বাইরে বের হয়ে যেতে দেখা যায়। পরে নিহতের ছোট ছেলে উজ্জ্বল রায় কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এ সময় তিনি আশপাশের প্রতিবেশীদের ডেকে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে তার পিতা উৎপল রায়ের রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক জামাল উদ্দিন জানান, দুষ্কৃতিকারীরা ওই ফ্ল্যাটের আলমারি ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ণের অলংকারসহ টাকা নিয়ে গেছে। ঘটনারপর থেকে ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী ও বাড়ির নৈশ প্রহরী পলাতক রয়েছে। পুলিশের ধারণা, ডাকাতির উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীকে হত্যার পর পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারীরা।

এদিকে ওই বাড়ির নৈশ প্রহরী ও ফ্ল্যাটের গৃহকর্মীকে পুলিশ খুঁজছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকসহ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানায় পুলিশ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা: গৃহকর্মী ও নৈশ প্রহরীকে খুঁজছে পুলিশ

আপডেট টাইম : ১২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে উৎপল রায় নামে এক ব্যবসায়ীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই বাড়ির নৈশ প্রহরী ও ফ্ল্যাটের গৃহকর্মীকে পুলিশ খুঁজছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে টানবাজারে সাহাপাড়ায় অবস্থিত শংকর সাহার মালিকানাধীন ৭ তলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতউৎপল রায় একজন ব্যবসায়ী বলে জানায় পুলিশ। তার ছোট ছেলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেনের চিকিৎসক উজ্জ্বল কুমার রায়কে নিয়ে সাহাপাড়ার ওই ফ্ল্যাটর ভাড়া থাকতেন তিনি। তার বড় ছেলে প্রবাসী প্রকৌশলী।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন উৎপল রায়। রাত নয়টার দিকে ওই ফ্ল্যাট থেকে গৃহকর্মীকে বাইরে বের হয়ে যেতে দেখা যায়। পরে নিহতের ছোট ছেলে উজ্জ্বল রায় কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এ সময় তিনি আশপাশের প্রতিবেশীদের ডেকে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে তার পিতা উৎপল রায়ের রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক জামাল উদ্দিন জানান, দুষ্কৃতিকারীরা ওই ফ্ল্যাটের আলমারি ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ণের অলংকারসহ টাকা নিয়ে গেছে। ঘটনারপর থেকে ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী ও বাড়ির নৈশ প্রহরী পলাতক রয়েছে। পুলিশের ধারণা, ডাকাতির উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীকে হত্যার পর পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারীরা।

এদিকে ওই বাড়ির নৈশ প্রহরী ও ফ্ল্যাটের গৃহকর্মীকে পুলিশ খুঁজছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকসহ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানায় পুলিশ।