ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কম্বোডিয়া থেকে আসবে ১০ লাখ টন চাল

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  আগামী পাঁচ বছরে ১০ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যে কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।

বুধবার দেশটির রাজধানী নমপেনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক এই চুক্তিতে সই করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

তারা জানায়, চুক্তির অংশ হিসেবে চলতি বছরেই ২ লাখ টন সাদা চাল এবং ৫০ হাজার টন আধা সিদ্ধ চাল কিনবে বাংলাদেশ।

কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক রয়টার্সকে বলেন, এই চুক্তির পর আগামী অক্টোবরের মধ্যেই এই আড়াই লাখ টান চাল আমরা বাংলাদেশে রপ্তানি করতে পারব।

বাংলাদেশকে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ চাল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে তুলে ধরে রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিলে বন্যায় ধানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তারা এখন এই শস্যের অন্যতম বড় আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে।

হাওরে ফসলহানির পর বাংলাদেশে চালের মজুদ কমে যাওয়া এবং অভ্যন্তরীন বাজারে দাম বাড়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয় এতে।
কম্বোডিয়া সফররত খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম রয়টার্সকে বলেন, বন্যার কারণে এ বছর আমাদের সমস্যা হয়েছে। কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা চু্ক্তি বাস্তবায়নে আমরা এখানে এসেছি।

বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তিই কম্বোডিয়ার সবচেয়ে বড় চাল রপ্তানির চুক্তি জানিয়ে রয়টার্স জানায়, দেশটি চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬২ টন চাল রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। খরায় উৎপাদন ব্যাহত হলেও গত বছরে কম্বোডিয়া প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছে।

গতবছর এপ্রিলে যেখানে সরকারি গুদামগুলোতে সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল ছিল, সেখানে এ বছর জুনে তা ১ দশমিক ৯৩ লাখ মেট্রিক টনে ঠেকেছে। ফলে ভরা মৌসুমেও বেশ কিছু দিন ধরে বাজারে চালের দাম বেড়ে চলেছে। ফসলহানীর পাশাপাশি ধানের দাম বেশি থাকার কথা বলে চালের বাড়তি দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

এ অবস্থায় চাল আমদানিতে ২০১৫ সালে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া শুল্কহার এবার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এরপর সরকার ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি করে, যার মধ্যে দুই দফায় ইতোমধ্যে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন চাল দেশে এসেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

কম্বোডিয়া থেকে আসবে ১০ লাখ টন চাল

আপডেট টাইম : ০১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  আগামী পাঁচ বছরে ১০ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যে কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।

বুধবার দেশটির রাজধানী নমপেনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক এই চুক্তিতে সই করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

তারা জানায়, চুক্তির অংশ হিসেবে চলতি বছরেই ২ লাখ টন সাদা চাল এবং ৫০ হাজার টন আধা সিদ্ধ চাল কিনবে বাংলাদেশ।

কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক রয়টার্সকে বলেন, এই চুক্তির পর আগামী অক্টোবরের মধ্যেই এই আড়াই লাখ টান চাল আমরা বাংলাদেশে রপ্তানি করতে পারব।

বাংলাদেশকে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ চাল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে তুলে ধরে রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিলে বন্যায় ধানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তারা এখন এই শস্যের অন্যতম বড় আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে।

হাওরে ফসলহানির পর বাংলাদেশে চালের মজুদ কমে যাওয়া এবং অভ্যন্তরীন বাজারে দাম বাড়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয় এতে।
কম্বোডিয়া সফররত খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম রয়টার্সকে বলেন, বন্যার কারণে এ বছর আমাদের সমস্যা হয়েছে। কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা চু্ক্তি বাস্তবায়নে আমরা এখানে এসেছি।

বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তিই কম্বোডিয়ার সবচেয়ে বড় চাল রপ্তানির চুক্তি জানিয়ে রয়টার্স জানায়, দেশটি চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬২ টন চাল রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। খরায় উৎপাদন ব্যাহত হলেও গত বছরে কম্বোডিয়া প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছে।

গতবছর এপ্রিলে যেখানে সরকারি গুদামগুলোতে সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল ছিল, সেখানে এ বছর জুনে তা ১ দশমিক ৯৩ লাখ মেট্রিক টনে ঠেকেছে। ফলে ভরা মৌসুমেও বেশ কিছু দিন ধরে বাজারে চালের দাম বেড়ে চলেছে। ফসলহানীর পাশাপাশি ধানের দাম বেশি থাকার কথা বলে চালের বাড়তি দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

এ অবস্থায় চাল আমদানিতে ২০১৫ সালে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া শুল্কহার এবার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এরপর সরকার ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি করে, যার মধ্যে দুই দফায় ইতোমধ্যে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন চাল দেশে এসেছে।