ঢাকা , সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বপ্নের দেশে জমি পাবেন বিনামূল্যে

আপনার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এক চিলতে জমি কিনে নিজের স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করার। কিন্তু শহরে বাস করে সেই স্বপ্ন ৯০ শতাংশেরই অধরা থেকে যায়। এর প্রধান এবং প্রাথমিক কারণই হল শহরে জমি-বাড়ির আকাশছোঁয়া দাম। সেখানে সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে আপোস করে চলাটাই নিয়ম হয়ে গিয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে যদি আপনাকে বলা হয়, একেবারে বিনামূল্যে বিদেশের মাটিতেই পেয়ে যেতে পারেন আপনার স্বপ্নের বাড়ি, তাহলে? অবিশ্বাস্য ঠেকবে? তা শুরুতে মনে হতেই পারে। তবে পৃথিবীতে সত্যিই এমন ৮টি জায়গা আছে, যারা কয়েকটি শর্তের বিনিময়ে আপনাকে বিনামূল্যে জমি দেবে আপনার বহু সাধের বাড়িটি তৈরি করার জন্যে।

১. মার্নে, আইওয়া: এই শহরে বাসিন্দার সংখ্যা মোটে ১৪৯। এদিকে দিকে দিকে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ফাঁকা জমি। ফলে শহরের জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্যে বিনামূল্যে জমি বিলি করছে মার্নে হাউজিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন। তাদের শর্ত একটাই। বাড়ির আয়তন ১২০০ বর্গ ফুট বা তার থেকে বেশি হতেই হবে।

২. মারকেট, কানসাস: আমিরেকার কানসাসের একটি ছোট্ট শহর মারকেট। ২০১৩-র জরিপ অনুযায়ী এই শহরে রয়েছেন মোট ৬৪৩ জন বাসিন্দা। এখানকার কমিউনিটির তরফেও ইচ্ছুক ব্যক্তিদের বিনামূল্যে জমি দেয়া হচ্ছে। তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বাড়ি বানানো শেষ করতে হবে।

৩. লিঙ্কন, কানসাস: লিঙ্কন শহরের জনসংখ্যা ৩২৪১। তবে এই শহরের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন একটি উন্নতমানের সাব-ডিভিশন তৈরি করার। প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে এই শহরে থাকার ইচ্ছে হলে আপনিও বিনামূল্যে পেতে পারেন জমি।

৪. মাস্কেগঁ, মিশিগান: এই শহরের চাহিদা সামান্য ভিন্ন। এই শহর তার জনসংখ্যা বাড়াতে চায় না। বরং এই শহর আমন্ত্রণ জানাচ্ছে তাদের যারা এখানে ব্যবসা শুরু করতে চান। মাস্কেগঁ ২৫ প্রকল্পের অন্তর্গত। ব্যবসায় ইচ্ছুক ব্যক্তি জমির আবেদন করতে পারেন। তবে বিনা শর্তে জমি পাবেন না ভবিষ্যতের ব্যবসায়ীরা। কত পরিমাণে জমি নিচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করবে কত জনকে কাজ দিতে হবে। কর্মীর সংখ্যার ওপরে ব্যবসায়ী নানা রকম কর ছাড় পাবেন।

৫. নিউ রিচল্যান্ড, মিনেসোটা: একদিকে চার্চের সারি তো অন্যদিকে হ্রদের ধারে সূর্যাস্তের মনোরম শোভা। কিন্তু প্রকৃতির এই সব ঐশ্বর্য উপভোগ করার মতো মানুষের বড়ই অভাব এখানে। এখানে জনসংখ্যা মাত্র ১২০০। ফলে খালি পড়ে রয়েছে বহু জমি। এই শহরের প্রশাসন তাই বিনামূল্যে জমি দিতে প্রস্তুত। শর্ত একটাই। জমি পাওয়ার এক বছরের মধ্যেই বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে।

৬. বেয়াত্রিস, নেব্রাস্কা: এই শহরের জনসংখ্যা বা ব্যবসা বাড়ানোর কোনো প্রকল্পই নেই। বরং খালি পড়ে থাকা জমি সাফ করাই এই শহরের লক্ষ্য। এখানেও বিনামূল্যে জমি পাওয়া যাবে। তবে শর্ত একটাই অন্তত ৫ বছর থাকতে হবে এখানে।

৭. ক্যামডেন, মায়েন: এই শহর তাদেরই ব্যবসার জন্যে বিনামূল্যে জমি দিতে প্রস্তুত যারা অন্তত ২৪ জনকে কাজ দেবেন। বায়োটেক, আইটি, ফিন্যান্স হোক কিংবা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, এই শহর সবাইকেই স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

৮. আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট: আলাস্কার আবহাওয়া এবং রুক্ষ মাটি এখানে প্রধান প্রতিবন্ধক। তাই এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস সম্ভব নয়। এখানকার প্রশাসন আপনাকে বলছেও না স্থায়ী হতে। বরং তারা বিনামূল্যে জমি দিচ্ছে বাগানবাড়ি বানানোর জন্যে। শহুরে জীবনে হাঁফিয়ে উঠলে এখানে গিয়েই খানিক জিরিয়ে নিতে পারেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বপ্নের দেশে জমি পাবেন বিনামূল্যে

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০১৬
আপনার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এক চিলতে জমি কিনে নিজের স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করার। কিন্তু শহরে বাস করে সেই স্বপ্ন ৯০ শতাংশেরই অধরা থেকে যায়। এর প্রধান এবং প্রাথমিক কারণই হল শহরে জমি-বাড়ির আকাশছোঁয়া দাম। সেখানে সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে আপোস করে চলাটাই নিয়ম হয়ে গিয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে যদি আপনাকে বলা হয়, একেবারে বিনামূল্যে বিদেশের মাটিতেই পেয়ে যেতে পারেন আপনার স্বপ্নের বাড়ি, তাহলে? অবিশ্বাস্য ঠেকবে? তা শুরুতে মনে হতেই পারে। তবে পৃথিবীতে সত্যিই এমন ৮টি জায়গা আছে, যারা কয়েকটি শর্তের বিনিময়ে আপনাকে বিনামূল্যে জমি দেবে আপনার বহু সাধের বাড়িটি তৈরি করার জন্যে।

১. মার্নে, আইওয়া: এই শহরে বাসিন্দার সংখ্যা মোটে ১৪৯। এদিকে দিকে দিকে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ফাঁকা জমি। ফলে শহরের জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্যে বিনামূল্যে জমি বিলি করছে মার্নে হাউজিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন। তাদের শর্ত একটাই। বাড়ির আয়তন ১২০০ বর্গ ফুট বা তার থেকে বেশি হতেই হবে।

২. মারকেট, কানসাস: আমিরেকার কানসাসের একটি ছোট্ট শহর মারকেট। ২০১৩-র জরিপ অনুযায়ী এই শহরে রয়েছেন মোট ৬৪৩ জন বাসিন্দা। এখানকার কমিউনিটির তরফেও ইচ্ছুক ব্যক্তিদের বিনামূল্যে জমি দেয়া হচ্ছে। তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বাড়ি বানানো শেষ করতে হবে।

৩. লিঙ্কন, কানসাস: লিঙ্কন শহরের জনসংখ্যা ৩২৪১। তবে এই শহরের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন একটি উন্নতমানের সাব-ডিভিশন তৈরি করার। প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে এই শহরে থাকার ইচ্ছে হলে আপনিও বিনামূল্যে পেতে পারেন জমি।

৪. মাস্কেগঁ, মিশিগান: এই শহরের চাহিদা সামান্য ভিন্ন। এই শহর তার জনসংখ্যা বাড়াতে চায় না। বরং এই শহর আমন্ত্রণ জানাচ্ছে তাদের যারা এখানে ব্যবসা শুরু করতে চান। মাস্কেগঁ ২৫ প্রকল্পের অন্তর্গত। ব্যবসায় ইচ্ছুক ব্যক্তি জমির আবেদন করতে পারেন। তবে বিনা শর্তে জমি পাবেন না ভবিষ্যতের ব্যবসায়ীরা। কত পরিমাণে জমি নিচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করবে কত জনকে কাজ দিতে হবে। কর্মীর সংখ্যার ওপরে ব্যবসায়ী নানা রকম কর ছাড় পাবেন।

৫. নিউ রিচল্যান্ড, মিনেসোটা: একদিকে চার্চের সারি তো অন্যদিকে হ্রদের ধারে সূর্যাস্তের মনোরম শোভা। কিন্তু প্রকৃতির এই সব ঐশ্বর্য উপভোগ করার মতো মানুষের বড়ই অভাব এখানে। এখানে জনসংখ্যা মাত্র ১২০০। ফলে খালি পড়ে রয়েছে বহু জমি। এই শহরের প্রশাসন তাই বিনামূল্যে জমি দিতে প্রস্তুত। শর্ত একটাই। জমি পাওয়ার এক বছরের মধ্যেই বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে।

৬. বেয়াত্রিস, নেব্রাস্কা: এই শহরের জনসংখ্যা বা ব্যবসা বাড়ানোর কোনো প্রকল্পই নেই। বরং খালি পড়ে থাকা জমি সাফ করাই এই শহরের লক্ষ্য। এখানেও বিনামূল্যে জমি পাওয়া যাবে। তবে শর্ত একটাই অন্তত ৫ বছর থাকতে হবে এখানে।

৭. ক্যামডেন, মায়েন: এই শহর তাদেরই ব্যবসার জন্যে বিনামূল্যে জমি দিতে প্রস্তুত যারা অন্তত ২৪ জনকে কাজ দেবেন। বায়োটেক, আইটি, ফিন্যান্স হোক কিংবা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, এই শহর সবাইকেই স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

৮. আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট: আলাস্কার আবহাওয়া এবং রুক্ষ মাটি এখানে প্রধান প্রতিবন্ধক। তাই এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস সম্ভব নয়। এখানকার প্রশাসন আপনাকে বলছেও না স্থায়ী হতে। বরং তারা বিনামূল্যে জমি দিচ্ছে বাগানবাড়ি বানানোর জন্যে। শহুরে জীবনে হাঁফিয়ে উঠলে এখানে গিয়েই খানিক জিরিয়ে নিতে পারেন।