ঢাকা , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বনশ্রীতে গৃহকর্মীর মৃত্যু: গৃহকর্ত্রীও গ্রেপ্তার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ   রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় গৃহকর্মী লাইলী মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার আসামি গৃহকর্তা মাইনুদ্দীন ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক তোফাজ্জল হোসেন টিপুর পর গ্রেপ্তার হয়েছেন গৃহকর্ত্রী শাহনাজাও। ঘটনার দিন শুক্রবারই মাঈনুদ্দিন ও টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরদিন শনিবার দুপুরে আটক হন গৃহকর্ত্রী।

খিলগাঁও থানার ডিউটি অফিসার মনসুর আহমেদ সাংবাদিককে তিনজনের গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

উপপরিদর্শক মনসুর আহমেদ বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি মামলা করেছেন নিহত লাইলী আক্তারের ভাসুর শহীদুল ইসলাম। তিনি এই মামলায় তিনজনকে আসামি করেছেন। মামলাটির তদন্ত করছেন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মনজুর রহমান।’

অপর মামলাটি করেছেন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মনজুর হোসেন। তিনি নিজেই মামলাটির তদন্ত করছেন। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারশজন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় স্থানীয়দের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে বনশ্রীর চার নম্বর সড়কে জি ব্লকের একটি বাসায় গৃহকর্মী লাইলী আক্তারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। লাইলীকে হত্যার অভিযোগ এনে তাঁর পরিবার ও এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালায় এবং সড়কে গাড়ি ভাঙচুর করে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক দফা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

গৃহকর্তা মইনুদ্দিনের দাবি, লাইলী বাসায় কাজ করতে আসার পর বাড়ির একটি ঘরে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন। পরে দরজার ছিটকিনি ভেঙে ঘরের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

লাইলী বনশ্রীর পাশে হিন্দুপাড়া বস্তিতে থাকতেন। তাঁর ছোট দুই সন্তান রয়েছে। লাইলী আক্তারের স্বামী নজরুল ইসলাম ভারতের কারাগারে বন্দী।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বনশ্রীতে গৃহকর্মীর মৃত্যু: গৃহকর্ত্রীও গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ   রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় গৃহকর্মী লাইলী মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার আসামি গৃহকর্তা মাইনুদ্দীন ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক তোফাজ্জল হোসেন টিপুর পর গ্রেপ্তার হয়েছেন গৃহকর্ত্রী শাহনাজাও। ঘটনার দিন শুক্রবারই মাঈনুদ্দিন ও টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরদিন শনিবার দুপুরে আটক হন গৃহকর্ত্রী।

খিলগাঁও থানার ডিউটি অফিসার মনসুর আহমেদ সাংবাদিককে তিনজনের গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

উপপরিদর্শক মনসুর আহমেদ বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি মামলা করেছেন নিহত লাইলী আক্তারের ভাসুর শহীদুল ইসলাম। তিনি এই মামলায় তিনজনকে আসামি করেছেন। মামলাটির তদন্ত করছেন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মনজুর রহমান।’

অপর মামলাটি করেছেন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মনজুর হোসেন। তিনি নিজেই মামলাটির তদন্ত করছেন। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারশজন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় স্থানীয়দের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে বনশ্রীর চার নম্বর সড়কে জি ব্লকের একটি বাসায় গৃহকর্মী লাইলী আক্তারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। লাইলীকে হত্যার অভিযোগ এনে তাঁর পরিবার ও এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালায় এবং সড়কে গাড়ি ভাঙচুর করে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক দফা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

গৃহকর্তা মইনুদ্দিনের দাবি, লাইলী বাসায় কাজ করতে আসার পর বাড়ির একটি ঘরে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন। পরে দরজার ছিটকিনি ভেঙে ঘরের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

লাইলী বনশ্রীর পাশে হিন্দুপাড়া বস্তিতে থাকতেন। তাঁর ছোট দুই সন্তান রয়েছে। লাইলী আক্তারের স্বামী নজরুল ইসলাম ভারতের কারাগারে বন্দী।