ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তর কোরিয়া স্টাইলে শুক্রবার চুক্তি করবে ইরান-রাশিয়া

উত্তর কোরিয়া স্টাইলে আগামী শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বড় ধরণের চুক্তি করতে যাচ্ছে ইরান ও রাশিয়া। ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সফরে মস্কোয় এ চুক্তি সই হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইরান ও রাশিয়া একটি ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সই করতে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সাম্প্রতিক চুক্তির মতো ইরানের সঙ্গে আসন্ন এই চুক্তিতেও কোনো দেশের ক্ষতি হবে না। বরং এটি দুই দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে।

তিনি বলেন, আসন্ন চুক্তির লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ও রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা। এই বিস্তৃত চুক্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামাজিক সমস্যাগুলোও মোকাবেলা করা হবে।

এদিকে গত সোমবার ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ১৭ জানুয়ারি ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এর আগে চুক্তির খসড়া তৈরির সময় রাশিয়ায় ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালি বলেছিলেন, ইরানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতা সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। চুক্তিতে ‘একটি ভূমিকা এবং ৪৭টি অনুচ্ছেদ’ রয়েছে।

সম্প্রতি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছিলেন, এই চুক্তি দুই দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রসহ আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার জন্য আমাদের পক্ষগুলোর প্রতিশ্রুতির রূপরেখা প্রকাশ করবে।

প্রসঙ্গত, গত জুনে পিয়ংইয়ংয়ে এক শীর্ষ সম্মেলন শেষে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত চুক্তি সই করেন। চুক্তিতে সশস্ত্র আক্রমণের ক্ষেত্রে এক দেশ অপর দেশকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

উত্তর কোরিয়া স্টাইলে শুক্রবার চুক্তি করবে ইরান-রাশিয়া

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে

উত্তর কোরিয়া স্টাইলে আগামী শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বড় ধরণের চুক্তি করতে যাচ্ছে ইরান ও রাশিয়া। ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সফরে মস্কোয় এ চুক্তি সই হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইরান ও রাশিয়া একটি ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সই করতে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সাম্প্রতিক চুক্তির মতো ইরানের সঙ্গে আসন্ন এই চুক্তিতেও কোনো দেশের ক্ষতি হবে না। বরং এটি দুই দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে।

তিনি বলেন, আসন্ন চুক্তির লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ও রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা। এই বিস্তৃত চুক্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামাজিক সমস্যাগুলোও মোকাবেলা করা হবে।

এদিকে গত সোমবার ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ১৭ জানুয়ারি ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এর আগে চুক্তির খসড়া তৈরির সময় রাশিয়ায় ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালি বলেছিলেন, ইরানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতা সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। চুক্তিতে ‘একটি ভূমিকা এবং ৪৭টি অনুচ্ছেদ’ রয়েছে।

সম্প্রতি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছিলেন, এই চুক্তি দুই দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রসহ আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার জন্য আমাদের পক্ষগুলোর প্রতিশ্রুতির রূপরেখা প্রকাশ করবে।

প্রসঙ্গত, গত জুনে পিয়ংইয়ংয়ে এক শীর্ষ সম্মেলন শেষে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত চুক্তি সই করেন। চুক্তিতে সশস্ত্র আক্রমণের ক্ষেত্রে এক দেশ অপর দেশকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।