ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানা বৃষ্টির ‘শিকার’ ফুটপাতের হকার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক নাজেহাল রাজধানীর ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। আজ সূর্য উঠায় কিছুটা হাফ ছেড়ে বেঁচেছে তারা। বৃষ্টির কারণে আগের দুই দিন দোকান খুলতে পারেনি অনেকে। যারা দোকান খুলেছেন, ক্রেতার অভাবে তাদেরও লোকসান গুনতে হয়েছে।

মিরপুর-১ এখানকায় ফুটপাতে ব্যবসা করে এমন দোকানির সংখ্যা অগুণতি। কিন্তু অধিকাংশ দোকানই খোলা হয়নি গতকাল মঙ্গল ও বুধবার। হঠাৎ বৃষ্টি আসলেই বিপাকে পরতে হচ্ছে ফুটপাতের পোশাক ব্যবসায়ীদের। ত্রিপাল দিয়ে ঢাকার আগেই ভিজে যাচ্ছে। এক কাপড়ের রঙ অন্য কাপড়ে লেগে গতকালই অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

হকার জসিম বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, ‘বৃষ্টির লাইগা কাইল দোকান খুলি নাই। প্যাটের ধান্ধা। আইজও যদি না খুলি চলুম ক্যামনে! খুললাম, কিন্তু কাস্টমার নাই। মনে হয়না খরচা মরচা দিয়া বাসায় কিছু নিতে পারমু।’

ফুটপাতে সানগ্লাস বিক্রেতা মাসুদ বলেন, ‘আমার অবস্থা তো বেশি খারাপ। বৃষ্টিতে কি কেউ সানগ্লাস কিনে? তাও যদি দুই একটা ব্যাচা অয়! বিকাল অইতাছে, এহনো একটাও বেচি নাই।’

এই কদিন জনবহুল মিরপুরে দেখা যায়নি সে পরিচিত চিত্র। চাকরি ও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়মুখী মানুষ ছাড়া, কেনাকাটার প্রয়োজনে আশা তেমন কাউকে দেখা যায়নি। ফুটপাত ছাড়া ভেতরের ব্যবসায়ীদের চিত্রও একই। ক্রেতা নেই।

প্রায় একই রকম চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। ব্যস্ততম কৃষি মার্কেট ও বাসষ্টান্ডের ফুতপাতগুলো ছিল ক্রেতা শূন্য। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেউ কেউ দোকান খুললেও ক্রেতার দেখা পাননি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

টানা বৃষ্টির ‘শিকার’ ফুটপাতের হকার

আপডেট টাইম : ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক নাজেহাল রাজধানীর ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। আজ সূর্য উঠায় কিছুটা হাফ ছেড়ে বেঁচেছে তারা। বৃষ্টির কারণে আগের দুই দিন দোকান খুলতে পারেনি অনেকে। যারা দোকান খুলেছেন, ক্রেতার অভাবে তাদেরও লোকসান গুনতে হয়েছে।

মিরপুর-১ এখানকায় ফুটপাতে ব্যবসা করে এমন দোকানির সংখ্যা অগুণতি। কিন্তু অধিকাংশ দোকানই খোলা হয়নি গতকাল মঙ্গল ও বুধবার। হঠাৎ বৃষ্টি আসলেই বিপাকে পরতে হচ্ছে ফুটপাতের পোশাক ব্যবসায়ীদের। ত্রিপাল দিয়ে ঢাকার আগেই ভিজে যাচ্ছে। এক কাপড়ের রঙ অন্য কাপড়ে লেগে গতকালই অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

হকার জসিম বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, ‘বৃষ্টির লাইগা কাইল দোকান খুলি নাই। প্যাটের ধান্ধা। আইজও যদি না খুলি চলুম ক্যামনে! খুললাম, কিন্তু কাস্টমার নাই। মনে হয়না খরচা মরচা দিয়া বাসায় কিছু নিতে পারমু।’

ফুটপাতে সানগ্লাস বিক্রেতা মাসুদ বলেন, ‘আমার অবস্থা তো বেশি খারাপ। বৃষ্টিতে কি কেউ সানগ্লাস কিনে? তাও যদি দুই একটা ব্যাচা অয়! বিকাল অইতাছে, এহনো একটাও বেচি নাই।’

এই কদিন জনবহুল মিরপুরে দেখা যায়নি সে পরিচিত চিত্র। চাকরি ও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়মুখী মানুষ ছাড়া, কেনাকাটার প্রয়োজনে আশা তেমন কাউকে দেখা যায়নি। ফুটপাত ছাড়া ভেতরের ব্যবসায়ীদের চিত্রও একই। ক্রেতা নেই।

প্রায় একই রকম চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। ব্যস্ততম কৃষি মার্কেট ও বাসষ্টান্ডের ফুতপাতগুলো ছিল ক্রেতা শূন্য। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেউ কেউ দোকান খুললেও ক্রেতার দেখা পাননি।