ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন ইসির সিদ্ধান্তে হবে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন ‘ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন ইসির সিদ্ধান্তে হবে। কারো চাওয়া না চাওয়ার ওপর নির্ভর করে সেনা মোতায়েন করা হবে না।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ২৬ জন গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপে এ কথা বলেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সম্পূর্ণভাবে পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। দরকার মনে না করলে সেনাবাহিনী আসবে না। আর এটা সম্পূর্ণভাবে ইসির ওপর ছেড়ে দিতে হবে।’

সব দলকে নির্বাচনে আনতে ইসি মধ্যস্থতার ভূমিকা নেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘আলোচনা, সংলাপ, মতবিনিময় হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো ভূমিকা নেই এবং নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে কোনো রিস্ক নেবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক মেডিয়েটর এসে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসেও সমাঝোতায় আনতে পারেনি। সেখানে আমি কেন সে রিস্ক নিতে যাব? এটা আমার কাজ না।’

তিনি জানান, রাজনৈতিক দলের সংলাপে শুধুই আলোচনা হবে। কারো আসা না আসার বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না।

নির্বাচনকালে চাপের মুখে পড়লে কী করবেন? সংলাপে অংশ নেওয়া গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটির সুযোগ নেই। কারো কাছে যদি আমরা আত্মসমর্পণ করি তাহলে সেটি আমাদের দুর্বলতা। এটি আমরা কখনোই কোনোভাবেই করব না। কারণ, আমাদের কারো কাছে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণে ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বাধীন সত্তা নিয়ে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনকালে আমাদের কোনো চাপের মুখে পড়ার সুযোগ নেই। সে চাপের মুখে আমরা পড়বও না। এ যদি আমাদের শপথ থাকে, এটা যদি আমাদের অঙ্গীকার থাকে তাহলে চাপের মুখেও আমরা কখনো কম্প্রোমাইজ করব না; নতি স্বীকার করব না। ইটস্ এনাফ, আর কোথাও যেতে হবে না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন ইসির সিদ্ধান্তে হবে

আপডেট টাইম : ০২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন ‘ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন ইসির সিদ্ধান্তে হবে। কারো চাওয়া না চাওয়ার ওপর নির্ভর করে সেনা মোতায়েন করা হবে না।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ২৬ জন গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপে এ কথা বলেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সম্পূর্ণভাবে পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। দরকার মনে না করলে সেনাবাহিনী আসবে না। আর এটা সম্পূর্ণভাবে ইসির ওপর ছেড়ে দিতে হবে।’

সব দলকে নির্বাচনে আনতে ইসি মধ্যস্থতার ভূমিকা নেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘আলোচনা, সংলাপ, মতবিনিময় হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো ভূমিকা নেই এবং নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে কোনো রিস্ক নেবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক মেডিয়েটর এসে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসেও সমাঝোতায় আনতে পারেনি। সেখানে আমি কেন সে রিস্ক নিতে যাব? এটা আমার কাজ না।’

তিনি জানান, রাজনৈতিক দলের সংলাপে শুধুই আলোচনা হবে। কারো আসা না আসার বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না।

নির্বাচনকালে চাপের মুখে পড়লে কী করবেন? সংলাপে অংশ নেওয়া গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটির সুযোগ নেই। কারো কাছে যদি আমরা আত্মসমর্পণ করি তাহলে সেটি আমাদের দুর্বলতা। এটি আমরা কখনোই কোনোভাবেই করব না। কারণ, আমাদের কারো কাছে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণে ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বাধীন সত্তা নিয়ে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনকালে আমাদের কোনো চাপের মুখে পড়ার সুযোগ নেই। সে চাপের মুখে আমরা পড়বও না। এ যদি আমাদের শপথ থাকে, এটা যদি আমাদের অঙ্গীকার থাকে তাহলে চাপের মুখেও আমরা কখনো কম্প্রোমাইজ করব না; নতি স্বীকার করব না। ইটস্ এনাফ, আর কোথাও যেতে হবে না।