ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন করে মন্ত্রী হচ্ছেন যারা

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে তৃতীয় দফায় সম্প্রসারণ করা হচ্ছে মন্ত্রিসভার।  এ যাত্রায় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর অাওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  যুক্ত হতে পারেন সাবেক পরিবেশ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

আগামী সপ্তাহের শুরুতেই মন্ত্রিসভার এ সম্প্রসারণ কাজ শুরু হবে।  এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদে কোনো পরিবর্তন আসছে কি-না তা নিশ্চিত করে জানা যাচ্ছে না।

সচিবালয়ের


নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  তবে এ বিষয়ে কেউ-ই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বলা হচ্ছে, গত মেয়র নির্বাচনে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনকে দলের মনোনয়ন ছেড়ে দেয়ায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর ওপর সন্তুষ্ট দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামে তার অতীত রাজনীতি এবং ত্যাগের বিষয়টিও বিবেচনায় আসছে।

অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খুলেননি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।  এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীই ভালো জানেন বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।  আমার বয়স হয়েছে, এখন শুধু দলের জন্য কাজ করি।  নেত্রী কী সিদ্ধান্ত নেবেন উনিই ভালো জানেন।

মহিউদ্দিন ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত।  পরবর্তীতে শ্রমিক লীগের রাজনীতি করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কান্ডারি হন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিনের মুক্তিযুদ্ধকালে রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।  দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অটল থাকতে গিয়ে সামরিক শাসনসহ বিভিন্ন সময় কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে।

এদিকে ডা. দীপু মনি আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।  সেসময় তার দক্ষতা ও বিদেশ সফর নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছিল।  তবে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীর দায়িত্বপালনকারী ড. আব্দুর রাজ্জাক দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রিসভায় জায়গা না পাওয়ায় অবাক হয়েছিলেন অনেকে।

২০১৫ সালের ১৫ জুলাই নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসিকে টেকনোক্র্যাট কোটায় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী করেন প্রধানমন্ত্রী।  সাথে প্রতিমন্ত্রী দুজনকে পূর্ণমন্ত্রী এবং তারানা হালিমসহ মোট দুজনকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন করে মন্ত্রী হচ্ছেন যারা

আপডেট টাইম : ০৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০১৬

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে তৃতীয় দফায় সম্প্রসারণ করা হচ্ছে মন্ত্রিসভার।  এ যাত্রায় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর অাওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  যুক্ত হতে পারেন সাবেক পরিবেশ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

আগামী সপ্তাহের শুরুতেই মন্ত্রিসভার এ সম্প্রসারণ কাজ শুরু হবে।  এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদে কোনো পরিবর্তন আসছে কি-না তা নিশ্চিত করে জানা যাচ্ছে না।

সচিবালয়ের


নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  তবে এ বিষয়ে কেউ-ই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বলা হচ্ছে, গত মেয়র নির্বাচনে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনকে দলের মনোনয়ন ছেড়ে দেয়ায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর ওপর সন্তুষ্ট দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামে তার অতীত রাজনীতি এবং ত্যাগের বিষয়টিও বিবেচনায় আসছে।

অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খুলেননি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।  এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীই ভালো জানেন বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।  আমার বয়স হয়েছে, এখন শুধু দলের জন্য কাজ করি।  নেত্রী কী সিদ্ধান্ত নেবেন উনিই ভালো জানেন।

মহিউদ্দিন ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত।  পরবর্তীতে শ্রমিক লীগের রাজনীতি করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কান্ডারি হন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিনের মুক্তিযুদ্ধকালে রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।  দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অটল থাকতে গিয়ে সামরিক শাসনসহ বিভিন্ন সময় কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে।

এদিকে ডা. দীপু মনি আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।  সেসময় তার দক্ষতা ও বিদেশ সফর নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছিল।  তবে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীর দায়িত্বপালনকারী ড. আব্দুর রাজ্জাক দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রিসভায় জায়গা না পাওয়ায় অবাক হয়েছিলেন অনেকে।

২০১৫ সালের ১৫ জুলাই নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসিকে টেকনোক্র্যাট কোটায় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী করেন প্রধানমন্ত্রী।  সাথে প্রতিমন্ত্রী দুজনকে পূর্ণমন্ত্রী এবং তারানা হালিমসহ মোট দুজনকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়।