ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশকে বহিষ্কার করতে যা করার তার সব চেষ্টাই চলছে: পাপন

প্রথমে আম্পায়ারিং নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এরপর ভেন্যু পরিবর্তন থেকে ঝকঝকে রোদ থাকা স্বত্বেও ম্যাচ না হওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয় সমালোচনা। নবম রাউন্ডের প্রথম তিন ম্যাচের ভেন্যু অদল-বদল করে আলোচনার জন্ম দেয় সিসিডিএম। একাদশ রাউন্ডের ম্যাচ নিয়েও ঘটে একই ঘটনা। এই রাউন্ডে অদল-বদল হয় শেষ তিন ম্যাচের দুটির ভেন্যু।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের চলমান ঘটনা নিয়ে অভিযোগ গেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছেও। আর এতে চটেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

শুক্রবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানান তিনি। তবে অভিযোগ কে বা কারা করেছে, তা জানান নি বিসিবি সভাপতি। অভিযোগের পর আইসিসি তার সাথে যোগাযোগ করেছে বলেও জানান তিনি।

বললেন, ‘গাজী গ্রুপের খেলা পেছানো নিয়ে একটা বিরাট আওয়াজ উঠেছিল।


মনে হচ্ছে এটা সুবিধা নেওয়ার জন্য করা হয়েছে। সমীকরণ ছিল প্রতিপক্ষের সঙ্গে  বড় ব্যবধানে গাজী যদি জিতে যায় তাহলে সুপার লিগ কনফার্ম করবে। এমন কিছু হলে তো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু ফলাফল যা দেখলাম তাতে এটা ম্যাচ ফিক্সিং বা পাতানো কোনো খেলার জন্য এই কাজটা করেছে, এই অভিযোগ করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, কাল রাতেই আমাকে জানানো হয়েছে ব্যাপারটির তদন্ত করার জন্য। আম্পায়ারিং নিয়ে  আমি সবাইকে জিজ্ঞেস করেছি। সব কিছু জানা দরকার। আইসিসি পর্যন্ত যেহেতু একটি বিষয় চলে গেছে, বিতর্কিত বিষয়গুলোর ছবি পাঠানো হয়েছে, সেহেতু এটা সিরিয়াস একটি ব্যাপার। আমি জানতে চেয়েছিলাম কি ঘটেছিল? বিকেএসপির একটা ম্যাচে রান আউট দেওয়া হয়নি। কিন্তু ওই রান আউটের সঙ্গে খেলার রেজাল্টের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ৬ উইকেটের জায়গায় ৭ উইকেট হতো। লাস্ট দুই বলে ‍চার-ছক্কা মেরেই জিততে হয়েছে। বরং লিগে আবাহনী দুই দু্ইটা ম্যাচ হেরে গেছে লাস্ট বলে।’

এসব অভিযোগ পাঠানোকে বাংলাদেশের ক্রিকেট ধ্বংসের পাঁয়তারা হিসেবেই দেখছেন বিসিবি সভাপতি। আইসিসির কাছে অভিযোগ করায় চটেছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘আইসিসির কাছে ছবি পাঠিয়ে দেওয়া, কমপ্লেইন করা এসব বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখানে পাতানো খেলা হয়? এর মানে কি বাংলাদেশকে বহিষ্কার করার জন্য যা যা করার সে চেষ্টা চলছে? আমি মনে করি আলাদাভাবে যদি আমার কাছে নালিশ আনা হয়, তাহলে তার বিচার করা আমার জন্য সুবিধা হয়। আমি আগেও বলেছি প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগে যা যা করার করবো। কাউকেই ছাড় দেব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভুল ধরতে চাইলে আপনি অনেক ভুল ধরতে পারবেন। কিন্তু ক্রিকেটকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র চলছে এ ব্যাপারে আপনাকে-আমাকে আরও সাবধান থাকতে হবে। বাইরের দেশ থেকেও যখন আমাকে ফোন করে বলে- তোমাদের ওখানে প্রতিটা খেলাই নাকি পয়সার বিনিময়ে হয়, তখন খুব খারাপ লাগে।’-প্রিয়.কম

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশকে বহিষ্কার করতে যা করার তার সব চেষ্টাই চলছে: পাপন

আপডেট টাইম : ০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০১৬

প্রথমে আম্পায়ারিং নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এরপর ভেন্যু পরিবর্তন থেকে ঝকঝকে রোদ থাকা স্বত্বেও ম্যাচ না হওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয় সমালোচনা। নবম রাউন্ডের প্রথম তিন ম্যাচের ভেন্যু অদল-বদল করে আলোচনার জন্ম দেয় সিসিডিএম। একাদশ রাউন্ডের ম্যাচ নিয়েও ঘটে একই ঘটনা। এই রাউন্ডে অদল-বদল হয় শেষ তিন ম্যাচের দুটির ভেন্যু।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের চলমান ঘটনা নিয়ে অভিযোগ গেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছেও। আর এতে চটেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

শুক্রবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানান তিনি। তবে অভিযোগ কে বা কারা করেছে, তা জানান নি বিসিবি সভাপতি। অভিযোগের পর আইসিসি তার সাথে যোগাযোগ করেছে বলেও জানান তিনি।

বললেন, ‘গাজী গ্রুপের খেলা পেছানো নিয়ে একটা বিরাট আওয়াজ উঠেছিল।


মনে হচ্ছে এটা সুবিধা নেওয়ার জন্য করা হয়েছে। সমীকরণ ছিল প্রতিপক্ষের সঙ্গে  বড় ব্যবধানে গাজী যদি জিতে যায় তাহলে সুপার লিগ কনফার্ম করবে। এমন কিছু হলে তো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু ফলাফল যা দেখলাম তাতে এটা ম্যাচ ফিক্সিং বা পাতানো কোনো খেলার জন্য এই কাজটা করেছে, এই অভিযোগ করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, কাল রাতেই আমাকে জানানো হয়েছে ব্যাপারটির তদন্ত করার জন্য। আম্পায়ারিং নিয়ে  আমি সবাইকে জিজ্ঞেস করেছি। সব কিছু জানা দরকার। আইসিসি পর্যন্ত যেহেতু একটি বিষয় চলে গেছে, বিতর্কিত বিষয়গুলোর ছবি পাঠানো হয়েছে, সেহেতু এটা সিরিয়াস একটি ব্যাপার। আমি জানতে চেয়েছিলাম কি ঘটেছিল? বিকেএসপির একটা ম্যাচে রান আউট দেওয়া হয়নি। কিন্তু ওই রান আউটের সঙ্গে খেলার রেজাল্টের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ৬ উইকেটের জায়গায় ৭ উইকেট হতো। লাস্ট দুই বলে ‍চার-ছক্কা মেরেই জিততে হয়েছে। বরং লিগে আবাহনী দুই দু্ইটা ম্যাচ হেরে গেছে লাস্ট বলে।’

এসব অভিযোগ পাঠানোকে বাংলাদেশের ক্রিকেট ধ্বংসের পাঁয়তারা হিসেবেই দেখছেন বিসিবি সভাপতি। আইসিসির কাছে অভিযোগ করায় চটেছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘আইসিসির কাছে ছবি পাঠিয়ে দেওয়া, কমপ্লেইন করা এসব বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখানে পাতানো খেলা হয়? এর মানে কি বাংলাদেশকে বহিষ্কার করার জন্য যা যা করার সে চেষ্টা চলছে? আমি মনে করি আলাদাভাবে যদি আমার কাছে নালিশ আনা হয়, তাহলে তার বিচার করা আমার জন্য সুবিধা হয়। আমি আগেও বলেছি প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগে যা যা করার করবো। কাউকেই ছাড় দেব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভুল ধরতে চাইলে আপনি অনেক ভুল ধরতে পারবেন। কিন্তু ক্রিকেটকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র চলছে এ ব্যাপারে আপনাকে-আমাকে আরও সাবধান থাকতে হবে। বাইরের দেশ থেকেও যখন আমাকে ফোন করে বলে- তোমাদের ওখানে প্রতিটা খেলাই নাকি পয়সার বিনিময়ে হয়, তখন খুব খারাপ লাগে।’-প্রিয়.কম