ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ শিশু শ্রম মুক্ত হবে : চুন্নু

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ২০২১ সাল নাগাদ দেশ সকল ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম থেকে মুক্ত হবে।

তিনি বলেন, দেশে শিশু শ্রমিকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসছে এবং ২০২১ সাল নাগাদ শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ সকল চাকরি বন্ধ করে দিতে সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘শিশু শ্রম বন্ধের আমাদের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, শিশু শ্রম রোধের উপায় হিসেবে আমরা শিশু শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। ঝরেপড়া রোধে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে কেবল আইনের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, এজন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। শিশু শ্রম রোধে দুই সন্তানের অধিক নয় এই নীতিতে যথাযথ পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আশাবাদ জানিয়ে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শিশু শ্রম বন্ধের আইনী বিধান রাখা হয়েছে এবং সরকার এই আইনের ব্যবহারের মাধ্যমে শিশু শ্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, আমি আস্থাশীল যে শিশু নির্যাতনের হার কমে আসবে।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ঘোষিত বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

প্রতিবছর ১২ জুন সরকার, কর্মচারী ও শ্রমিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের পাশাপাশি বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ শিশু শ্রম বন্ধ এবং শিশুদের সহযোগিতায় পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার গ্রহণ করে।

ড. আবদুল কাইয়ুম লস্কর এবং কমিউনিটি পার্টি সিপিয়েশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট প্রধান নির্বাহী মোসলেমা বারি অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ শিশু শ্রম মুক্ত হবে : চুন্নু

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০১৬

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ২০২১ সাল নাগাদ দেশ সকল ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম থেকে মুক্ত হবে।

তিনি বলেন, দেশে শিশু শ্রমিকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসছে এবং ২০২১ সাল নাগাদ শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ সকল চাকরি বন্ধ করে দিতে সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘শিশু শ্রম বন্ধের আমাদের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, শিশু শ্রম রোধের উপায় হিসেবে আমরা শিশু শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। ঝরেপড়া রোধে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে কেবল আইনের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, এজন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। শিশু শ্রম রোধে দুই সন্তানের অধিক নয় এই নীতিতে যথাযথ পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আশাবাদ জানিয়ে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শিশু শ্রম বন্ধের আইনী বিধান রাখা হয়েছে এবং সরকার এই আইনের ব্যবহারের মাধ্যমে শিশু শ্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, আমি আস্থাশীল যে শিশু নির্যাতনের হার কমে আসবে।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ঘোষিত বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

প্রতিবছর ১২ জুন সরকার, কর্মচারী ও শ্রমিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের পাশাপাশি বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ শিশু শ্রম বন্ধ এবং শিশুদের সহযোগিতায় পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার গ্রহণ করে।

ড. আবদুল কাইয়ুম লস্কর এবং কমিউনিটি পার্টি সিপিয়েশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট প্রধান নির্বাহী মোসলেমা বারি অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।