দুই মহানায়কের প্রথম ঠিকানা ছাত্রলীগ বলে উল্লেখ করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণপ্রিয় সংগঠন হলো ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছেন তিনি। মানব কল্যাণে ব্রত হয়েছেন, হয়েছেন বাঙালির পথদ্রষ্টা।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা সব সময় বলতেন ‘বাঙালির মুক্তির ইতিহাস আর ছাত্রলীগের ইতিহাস সমার্থক, সমান্তরাল।
তিনি বলেন, একইভাবে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি ছাত্রলীগের মাধ্যমেই। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই জাতির পিতার আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করেছেন তিনি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা এ আদর্শের বীজকে মহীরুহ
বৃক্ষে রূপ দিয়েছেন। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাষ্ট্রদর্শন জনগণের ক্ষমতায়ন। যে রাষ্ট্রদর্শন আজ জাতিসংঘ সর্বসম্মতভাবে বিশ্বশান্তির মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলানায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত বর্ধিতসভা ও কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের দুই মহানায়কের প্রথম ঠিকানা ছাত্রলীগ। একজন বাংলাদেশের জন্মদাতা। অন্যজন জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের সফল কারিগর।
তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতায়ন রাষ্ট্রদর্শনের মাধ্যমে যিনি আজ বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। এরকম একটি সংগঠনের একজন কর্মী হতে পারা বিরাট গৌরবের।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যেখানে যতো গৌরব, সেখানে ততো দায়িত্ব। ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীর দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। এই দায়িত্ববোধ জাতির পিতার জীবন থেকে উৎসারিত, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জনগণের ক্ষমতায়ন থেকে বিকশিত।
তিনি বলেন, শুধু মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকলে একজন ছাত্রলীগ কর্মী জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করবে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। তারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির মতো অনৈতিক কাজকে ঘৃণা করবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ।