ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা উত্তম আমল

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আল্লাহ তাআলার কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভে শক্তিশালী মাধ্যম হলো তাঁর ফরজগুলো যথাযথ আদায় করা। ফরজসমূহ যেভাবে আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেভাবে আদায় করাই উত্তম।

আল্লাহ তাআলা কর্তৃক ফরজ করা আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পছন্দীয় ও গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করা। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে জানতে চাইলাম, আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল কোনটি? তিনি (প্রিয়নবি) বললেন, ‘নামাজকে তার ওয়াক্তের (সময়মতো) মধ্যে আদায় করা।’ (বুখারি)

নামাজ প্রথম ওয়াক্তে আরম্ভ করা দেরিতে আরম্ভ করা হতে উত্তম। কারণ নামাজ প্রিয় আমল হওয়ার জন্য নামাজকে তার মোস্তাহাব সময়ের মধ্যে আরম্ভ করাকে শর্ত করা হয়েছে।

ইমাম তাহাবি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায়ে কষ্ট কম এবং সময়মতো নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে জানার পরও বিনা ওজরে ফরজ নামাজসমূহ দেরিতে আদায় করে; ওই ব্যক্তি অন্যান্য দায়িত্ব (ফরজ) সম্পর্কে আরো বেশি উদাসিন।’

ওয়াক্তের বাইরে নামাজ আদায়কারীদের প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘অতএব সেই সব নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী।’ (সুরা মাউন : আয়াত ৪-৫)

এখানে ওই সব নামাজি ব্যক্তি উদ্দেশ্যে, যারা নামাজ আদায় করার যোগ্য তারা নামাজ আদায় করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিও বটে।

আয়াতে ‘নামাজে অমনোযোগী’ বলতে বুঝায়
>> তারা একেবারে নামাজ আদায় করা থেকে গাফেল বা অমনোযোগী।
>> শরিয়ত নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা থেকে গাফেল বা অমনোযোগী। ফলে তারা এক ওয়াক্তে নামাজকে অন্য ওয়াক্তে আদায় করে।
>> হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তারা নামাজকে নির্ধারিত সময় থেকে দেরিতে পড়ে।
>> হজরত আবুল আলীয়া বলেন, ‘তারা সময়মতো নামাজ আদায় করে না এবং নামাজের রুকু এবং সেজদা ভালোভাবে আদায় করে না।

কুরআন এবং হাদিসের আলোকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয়কাজ ও আল্লাহ তাআলার নির্দেশ। তাই সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করে প্রিয়নবির প্রিয়কাজের আমল করা উম্মতের জন্য জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবি ঘোষিত উত্তম আমল সময়মতো নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা উত্তম আমল

আপডেট টাইম : ১২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আল্লাহ তাআলার কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভে শক্তিশালী মাধ্যম হলো তাঁর ফরজগুলো যথাযথ আদায় করা। ফরজসমূহ যেভাবে আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেভাবে আদায় করাই উত্তম।

আল্লাহ তাআলা কর্তৃক ফরজ করা আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পছন্দীয় ও গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করা। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে জানতে চাইলাম, আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল কোনটি? তিনি (প্রিয়নবি) বললেন, ‘নামাজকে তার ওয়াক্তের (সময়মতো) মধ্যে আদায় করা।’ (বুখারি)

নামাজ প্রথম ওয়াক্তে আরম্ভ করা দেরিতে আরম্ভ করা হতে উত্তম। কারণ নামাজ প্রিয় আমল হওয়ার জন্য নামাজকে তার মোস্তাহাব সময়ের মধ্যে আরম্ভ করাকে শর্ত করা হয়েছে।

ইমাম তাহাবি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায়ে কষ্ট কম এবং সময়মতো নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে জানার পরও বিনা ওজরে ফরজ নামাজসমূহ দেরিতে আদায় করে; ওই ব্যক্তি অন্যান্য দায়িত্ব (ফরজ) সম্পর্কে আরো বেশি উদাসিন।’

ওয়াক্তের বাইরে নামাজ আদায়কারীদের প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘অতএব সেই সব নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী।’ (সুরা মাউন : আয়াত ৪-৫)

এখানে ওই সব নামাজি ব্যক্তি উদ্দেশ্যে, যারা নামাজ আদায় করার যোগ্য তারা নামাজ আদায় করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিও বটে।

আয়াতে ‘নামাজে অমনোযোগী’ বলতে বুঝায়
>> তারা একেবারে নামাজ আদায় করা থেকে গাফেল বা অমনোযোগী।
>> শরিয়ত নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা থেকে গাফেল বা অমনোযোগী। ফলে তারা এক ওয়াক্তে নামাজকে অন্য ওয়াক্তে আদায় করে।
>> হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তারা নামাজকে নির্ধারিত সময় থেকে দেরিতে পড়ে।
>> হজরত আবুল আলীয়া বলেন, ‘তারা সময়মতো নামাজ আদায় করে না এবং নামাজের রুকু এবং সেজদা ভালোভাবে আদায় করে না।

কুরআন এবং হাদিসের আলোকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয়কাজ ও আল্লাহ তাআলার নির্দেশ। তাই সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করে প্রিয়নবির প্রিয়কাজের আমল করা উম্মতের জন্য জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবি ঘোষিত উত্তম আমল সময়মতো নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।