বয়স মাত্র ২৯। যে ফর্ম এবং ফিটনেস তাতে আরও সাত-আট বছর অনায়াসে খেলতে পারেন লিওনেল মেসি। অথচ টানা তিনটি এবং সব মিলিয়ে চারটি ফাইনাল হেরে এখনই কিনা অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিলেন! ঐতিহ্যের আকাশি-সাদা ১০ নম্বর জার্সিতে আর দেখা যাবে না মেসিকে!
মেসির অবসরের পেছনে ফক্স স্পোর্টস পাঁচটি কারণ খুঁজে বের করেছে। কারণগুলো হল-
পরপর তিনটি বড় ফাইনালে পরাজয় : মেসি নিজেই বলেছেন, আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি সর্বোচ্চ চারটি আসরের ফাইনাল খেলেছেন, অথচ একটিও জিতে পারেননি। বিশেষ করে অধিনায়ক হয়ে তিন বছরে তিনটি ফাইনাল হেরেছেন। এর দায় পুরোটাই নিজের কাঁধে নিয়েছেন।
পেনাল্টি মিস : আর্জেন্টিনার হয়ে ১১২ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫টি। শতবর্ষের এ আসরের ফাইনালে চিলির করা প্রথম শটই রুখে দেন রোমেরো। কিন্তু মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম শটটি নিতে এসে মিস করলেন। আর এতেই শিরোপা জয়ের যে ক্ষীণ আশাটুকু ছিল সেটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আর এ হারের জন্য নিজেকে দোষী ভাবছেন মেসি।
আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার সঙ্গে দূরত্ব : ফাইনালের তিন দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিভ্রাট নিয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থাকে একহাত নিয়েছিলেন। বিমানবন্দরে তাদের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইট দেরি হওয়ায় সেখানে বিশৃংখলা তৈরি হয়েছিল। তারপরই টুইটারে সমালোচনা করেন মেসি, যা কানে আসার পর ফিফাও আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থাকে একহাত নেয়। যে কারণে এএফএ’র সঙ্গে একটা শীতল সম্পর্ক তৈরি হয় তার।
ম্যারাডোনার তীর্যক মন্তব্য : কোপা চলার মাঝেই ম্যারাডোনার একটি মন্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। অধিনায়ক মেসিকে তিনি ‘ব্যক্তিত্বহীন’ বলেন। এমনকি আর্জেন্টিনায় বসে তিনি ক’দিন আগে এমনও বলেন যে, কোপা জিততে না পারলে দেশে ফেরার দরকার নেই। একসময় কোচের এমন কথায় ভীষণ আহত হয়েছিলেন মেসি।
স্বদেশী মিডিয়ার সমালোচনা : আর্জেন্টিনার মিডিয়া বরাবরই মেসির সমালোচনায় মুখর। তাদের অভিযোগ, মেসি যতটা না আর্জেন্টিনার, তার চেয়ে বেশি বার্সেলোনার। মেসি ১৩ বছর বয়সেই বার্সেলোনা একাডেমিতে যোগ দেন। তাকে স্পেন জাতীয় দলেও খেলার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু তিনি সেটা গ্রহণ করেননি। আর্জেন্টাইন মিডিয়ার অভিযোগ, মেসি আবেগ দিয়ে দেশের জন্য খেলেন না। এজন্যই দেশের হয়ে কোনো ট্রফি জিততে পারেননি তিনি।