ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবাধিকার কমিশন মিজানের স্থলাভিষিক্ত রেজাউল

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন সাবেক সচিব কাজী রেজাউল হক। মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মোহাম্মদ শহিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেজাউল হক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়ার পর সরকারি চাকরিতে যোগ দেন তিনি। পরে আইন, লোকপ্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দেশি ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। কাজী রেজাউল কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন। পরপর দুইবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন শেষে গত ২৩ জুন সংস্থাটি থেকে বিদায় নেন মিজানুর রহমান।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমমর্যাদাসম্পন্ন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। যে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এই কমিশনের অনুমোদন দেয়া হয়।

কমিশন অধ্যাদেশের অধীনে একজন সভাপতি এবং দুইজন কমিশনার নিয়ে ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কাজ শুরু করে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বা সমমর্যাদার ব্যক্তি, অন্য দুই কমিশনারের একজন হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং আরেকজন হবেন মানবাধিকার আন্দোলনের সমর্থক কোনো নারী নেত্রী।

অধ্যাদেশ বলে কমিশনের সভাপতি হবেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কমিশনের সদস্যগণ একটি নির্বাচনী কমিটির সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ লাভ করবেন। কমিশনের সভাপতি এবং অন্য সদস্যরা তিন বছরের মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন এবং মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় বারের মতো নিয়োগ লাভ করলে শুধু সেই মেয়াদেই দায়িত্ব পালন করবেন এবং তা পুনরায় আর বাড়ানো হবে না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মানবাধিকার কমিশন মিজানের স্থলাভিষিক্ত রেজাউল

আপডেট টাইম : ০৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০১৬

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন সাবেক সচিব কাজী রেজাউল হক। মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মোহাম্মদ শহিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেজাউল হক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়ার পর সরকারি চাকরিতে যোগ দেন তিনি। পরে আইন, লোকপ্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দেশি ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। কাজী রেজাউল কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন। পরপর দুইবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন শেষে গত ২৩ জুন সংস্থাটি থেকে বিদায় নেন মিজানুর রহমান।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমমর্যাদাসম্পন্ন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। যে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এই কমিশনের অনুমোদন দেয়া হয়।

কমিশন অধ্যাদেশের অধীনে একজন সভাপতি এবং দুইজন কমিশনার নিয়ে ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কাজ শুরু করে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বা সমমর্যাদার ব্যক্তি, অন্য দুই কমিশনারের একজন হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং আরেকজন হবেন মানবাধিকার আন্দোলনের সমর্থক কোনো নারী নেত্রী।

অধ্যাদেশ বলে কমিশনের সভাপতি হবেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কমিশনের সদস্যগণ একটি নির্বাচনী কমিটির সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ লাভ করবেন। কমিশনের সভাপতি এবং অন্য সদস্যরা তিন বছরের মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন এবং মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় বারের মতো নিয়োগ লাভ করলে শুধু সেই মেয়াদেই দায়িত্ব পালন করবেন এবং তা পুনরায় আর বাড়ানো হবে না।