ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪০ প্রজাতির ফল ফলবে একই গাছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একটা গাছই যেন ফলের বাগান। ৪০ প্রজাতির ফল ফলবে একই গাছে! শুনতে অবাক লাগলেও এমন অসাধ্যই সাধান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিরাসিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যাম ভন অ্যাকেন। আর এজন্য ওই গাছটির পেছনে তার ব্যয় করতে হয়েছে নয়টি বছর।

গোটা ফলের বাগান একটি গাছের মধ্যে পাওয়ার ইচ্ছা থেকেই কাজে হাত দেন স্যাম। আর করেছেনও তাই। এই অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটাতে ‘গ্রাফটিং’ বা ‘কলম’ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন তিনি।

এ পদ্ধতিতে দুটো গাছের কলম একত্রে জুড়ে দিয়ে তাদের শিরা কেটে দেওয়া হয়। যাতে একটি আরেকটির সাথে মিশে যেতে পারে। এই শিরাগুলোকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ফ্লোয়েম ও জাইলেম। এদের মাধ্যমে গাছের পানি, সুগার ও খনিজ পদার্থ শেকড় থেকে পাতায় পৌঁছায়।

এভাবেই একে একে ৪০টি গাছ কলম করে তিনি কাজটি করেছেন। বছরের পর বছর সাধনা করে অবশেষে পৌঁছেছেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।

এদের মধ্যে দুই বছরে ২০ থেকে ২৫টি ফলগাছ একসঙ্গে বেড়ে উঠেছে। দুই বছর পর তাদের যখন নতুন শাখা গজাতে শুরু করে, তখন তিনি তার সাথে আরও গাছের কলম যোগ করেন।

ভন অ্যাকেন বলেন, তাদের নিজস্ব জিনগত বৈচিত্র্য অক্ষুণ্ন রেখেই তাদের লালন করা হয়েছে। আপনি আলাদা ধরনের সব ফুল-ফলই এই গাছে দেখতে পাবেন।

কেনো এক গাছে ৪০ ফলের বিচিত্র খেয়াল মাথায় এলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্যাম বলেন, নিশ্চয়ই এটা পৃথিবীতে খিদের সমস্যা মিটিয়ে দেবে না! কিন্তু আশাকরি এ ধরনের চিন্তা অনেককে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

৪০ প্রজাতির ফল ফলবে একই গাছে

আপডেট টাইম : ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একটা গাছই যেন ফলের বাগান। ৪০ প্রজাতির ফল ফলবে একই গাছে! শুনতে অবাক লাগলেও এমন অসাধ্যই সাধান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিরাসিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যাম ভন অ্যাকেন। আর এজন্য ওই গাছটির পেছনে তার ব্যয় করতে হয়েছে নয়টি বছর।

গোটা ফলের বাগান একটি গাছের মধ্যে পাওয়ার ইচ্ছা থেকেই কাজে হাত দেন স্যাম। আর করেছেনও তাই। এই অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটাতে ‘গ্রাফটিং’ বা ‘কলম’ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন তিনি।

এ পদ্ধতিতে দুটো গাছের কলম একত্রে জুড়ে দিয়ে তাদের শিরা কেটে দেওয়া হয়। যাতে একটি আরেকটির সাথে মিশে যেতে পারে। এই শিরাগুলোকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ফ্লোয়েম ও জাইলেম। এদের মাধ্যমে গাছের পানি, সুগার ও খনিজ পদার্থ শেকড় থেকে পাতায় পৌঁছায়।

এভাবেই একে একে ৪০টি গাছ কলম করে তিনি কাজটি করেছেন। বছরের পর বছর সাধনা করে অবশেষে পৌঁছেছেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।

এদের মধ্যে দুই বছরে ২০ থেকে ২৫টি ফলগাছ একসঙ্গে বেড়ে উঠেছে। দুই বছর পর তাদের যখন নতুন শাখা গজাতে শুরু করে, তখন তিনি তার সাথে আরও গাছের কলম যোগ করেন।

ভন অ্যাকেন বলেন, তাদের নিজস্ব জিনগত বৈচিত্র্য অক্ষুণ্ন রেখেই তাদের লালন করা হয়েছে। আপনি আলাদা ধরনের সব ফুল-ফলই এই গাছে দেখতে পাবেন।

কেনো এক গাছে ৪০ ফলের বিচিত্র খেয়াল মাথায় এলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্যাম বলেন, নিশ্চয়ই এটা পৃথিবীতে খিদের সমস্যা মিটিয়ে দেবে না! কিন্তু আশাকরি এ ধরনের চিন্তা অনেককে অনুপ্রেরণা যোগাবে।