ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওজন কমাবে যে ১০ খাবার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দিন দিন ওজন বেড়ে যাচ্ছে। কম খেয়ে, ডায়েট করে, ব্যায়াম করেও ওজন কমছে না। সেই সঙ্গে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। এতে সবচেয়ে ভালো হয় খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন আনলে। পাশাপাশি এমন খাবার খাদ্যাভাসে আনা দরকার, যা ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। এরকম ১০টি খাবার সম্পর্কে জানবো আজ-

ব্রাউন রাইস

ভাত খেলে ওজন কমে একথা ভুল। গবেষণায় প্রমাণিত যে,  নিয়মিত ব্রাউন রাইস খেলে ওজন কমে।  এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ফাইবার অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং হার্টের রোগকে দূরে রাখে।

জাম

শুনে অবাক লাগলেও জাম ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে আছে ফাইবার যা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বার বার ক্ষুধা পায়না। এতে খাবার পরিমাণ কমে যায় বলে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না।

কলা

পটাশিয়ামের পাশাপাশি কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় রেজিসটেন্স স্টার্চ, যা ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। রেজিসটেন্স স্টার্চ হজম হতে সময় লাগে। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে যে ওজনও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

বাদাম

নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খেলে শরীরে মনো এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এর ফলে যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন হার্টকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ নেয়, তেমনি ওজন হ্রাসেও সাহায্য করে। এতেও ফাইবার থাকে, যার ফলে ক্ষুধা কম পায়।

গ্রিন টি

এই পানীয়টিতে উপস্থিত ‘ইজিসিজি’ নামক উপাদান শরীরের ফ্যাট সেল ঝরাতে শুরু করে। ফলে ওজন কমে দ্রুত। এই চায়ে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পলিফেনল, যা হজম ক্ষমতাকে এমন বাড়িয়ে দেয় যে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার কোনও সুযোগই থাকে না।

ব্রকলি

এই ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার। যা ক্ষুধা কমানোর পাশাপাশি ওজন কমিয়ে দেয়। এছাড়া শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে ব্রকলি দারুণভাবে কাজে আসে।

কোকো

এতে থাকা বিভিন্ন উপাদানগুলো ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। তেমনি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং মস্তিস্কের ক্ষমতা বাড়ায়। কোকোসমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট যদি নিয়মিত খেলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমতে থাকে।

অ্যাভোকাডো

এই ফলে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফলেট, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। এতে করে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলে। পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তির উন্নত করে, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নত এবং ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হলুদ

প্রায় হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই প্রকৃতিক উপাদানটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। হলুদে থাকা কার্কিউমিন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দিতে বেশ পারদর্শী।

আপেল

প্রতিদিন একটি আপেল খেলে নাকি ডাক্তারের কাছে যেতেই হয়না। আর ওজন কমাতে চাইলেও প্রতিদিন একটা আপেল খেতে পারেন। আপেলে থাকা পেকটিন অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ওজন কমাবে যে ১০ খাবার

আপডেট টাইম : ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মার্চ ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দিন দিন ওজন বেড়ে যাচ্ছে। কম খেয়ে, ডায়েট করে, ব্যায়াম করেও ওজন কমছে না। সেই সঙ্গে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। এতে সবচেয়ে ভালো হয় খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন আনলে। পাশাপাশি এমন খাবার খাদ্যাভাসে আনা দরকার, যা ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। এরকম ১০টি খাবার সম্পর্কে জানবো আজ-

ব্রাউন রাইস

ভাত খেলে ওজন কমে একথা ভুল। গবেষণায় প্রমাণিত যে,  নিয়মিত ব্রাউন রাইস খেলে ওজন কমে।  এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ফাইবার অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং হার্টের রোগকে দূরে রাখে।

জাম

শুনে অবাক লাগলেও জাম ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে আছে ফাইবার যা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বার বার ক্ষুধা পায়না। এতে খাবার পরিমাণ কমে যায় বলে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না।

কলা

পটাশিয়ামের পাশাপাশি কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় রেজিসটেন্স স্টার্চ, যা ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। রেজিসটেন্স স্টার্চ হজম হতে সময় লাগে। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে যে ওজনও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

বাদাম

নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খেলে শরীরে মনো এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এর ফলে যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন হার্টকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ নেয়, তেমনি ওজন হ্রাসেও সাহায্য করে। এতেও ফাইবার থাকে, যার ফলে ক্ষুধা কম পায়।

গ্রিন টি

এই পানীয়টিতে উপস্থিত ‘ইজিসিজি’ নামক উপাদান শরীরের ফ্যাট সেল ঝরাতে শুরু করে। ফলে ওজন কমে দ্রুত। এই চায়ে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পলিফেনল, যা হজম ক্ষমতাকে এমন বাড়িয়ে দেয় যে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার কোনও সুযোগই থাকে না।

ব্রকলি

এই ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার। যা ক্ষুধা কমানোর পাশাপাশি ওজন কমিয়ে দেয়। এছাড়া শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে ব্রকলি দারুণভাবে কাজে আসে।

কোকো

এতে থাকা বিভিন্ন উপাদানগুলো ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। তেমনি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং মস্তিস্কের ক্ষমতা বাড়ায়। কোকোসমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট যদি নিয়মিত খেলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমতে থাকে।

অ্যাভোকাডো

এই ফলে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফলেট, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। এতে করে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলে। পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তির উন্নত করে, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নত এবং ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হলুদ

প্রায় হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই প্রকৃতিক উপাদানটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। হলুদে থাকা কার্কিউমিন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দিতে বেশ পারদর্শী।

আপেল

প্রতিদিন একটি আপেল খেলে নাকি ডাক্তারের কাছে যেতেই হয়না। আর ওজন কমাতে চাইলেও প্রতিদিন একটা আপেল খেতে পারেন। আপেলে থাকা পেকটিন অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।