ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বকশীগঞ্জে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অন্যদিকে ব্লাস্ট রোগে অক্রান্ত হয়ে উপজেলার নিলক্ষিয়া, সাধুরপারা, বকশীগঞ্জ পৌর এলাকা ও মেরুরচর ইউনিয়নের প্রায় ৮০ শতাংশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ধান চাষিরা।

মাঝপাড়া এলাকার কৃষক মোস্তুফা কামাল টিটন বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, আমার প্রায় তিন একর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। প্রতি একরে ৫০ মন করে ধান উৎপাদন হলেও এখন সেগুলোতে ৫০ কেজি হবে কী না সন্দেহ রয়েছে।

অপরদিকে, কৃষক নুরুল আমিন ফুরকান বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, শিলাবৃষ্টিতে আমার প্রায় পাঁচ একর জমির ধান প্রায় পুরোটাই নষ্ট হয়েছে। এগুলো শ্রমিক দিয়ে কাটলে তাদের মজুরিও উঠবে না।

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসান সিদ্দিক বাঙালী কণ্ঠকে জানান, ২৫ এপ্রিল ভোরে বকশীগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ ধানই নষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে বিআর-২৮ ধানের ক্ষতির পরিমাণটা অনেক বেশি। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।

বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুল হামিদ বাঙালী কণ্ঠকে জানান, বকশীগঞ্জে ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে বকশীগঞ্জ পৌর ও সদর এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির পরিমাণটা বেশি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বকশীগঞ্জে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে

আপডেট টাইম : ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অন্যদিকে ব্লাস্ট রোগে অক্রান্ত হয়ে উপজেলার নিলক্ষিয়া, সাধুরপারা, বকশীগঞ্জ পৌর এলাকা ও মেরুরচর ইউনিয়নের প্রায় ৮০ শতাংশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ধান চাষিরা।

মাঝপাড়া এলাকার কৃষক মোস্তুফা কামাল টিটন বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, আমার প্রায় তিন একর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। প্রতি একরে ৫০ মন করে ধান উৎপাদন হলেও এখন সেগুলোতে ৫০ কেজি হবে কী না সন্দেহ রয়েছে।

অপরদিকে, কৃষক নুরুল আমিন ফুরকান বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, শিলাবৃষ্টিতে আমার প্রায় পাঁচ একর জমির ধান প্রায় পুরোটাই নষ্ট হয়েছে। এগুলো শ্রমিক দিয়ে কাটলে তাদের মজুরিও উঠবে না।

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসান সিদ্দিক বাঙালী কণ্ঠকে জানান, ২৫ এপ্রিল ভোরে বকশীগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ ধানই নষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে বিআর-২৮ ধানের ক্ষতির পরিমাণটা অনেক বেশি। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।

বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুল হামিদ বাঙালী কণ্ঠকে জানান, বকশীগঞ্জে ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে বকশীগঞ্জ পৌর ও সদর এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির পরিমাণটা বেশি।