ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লার মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের আদেশ আগামী রোববার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনের শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সাথে ছিলেন, আইনজীবী মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, মাহবুবউদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, শুনানি শেষ হয়েছে। রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল এর বক্তব্য শুনে আদালত আদেশ দেবেন।

এর আগে সকাল ১১টায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ৩ নম্বর ক্রমিকে এলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানির জন্য আদালতে হাজির হতে না পারায় সময় চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। এসময় আদালত অন্য মামলায় শুনানি শুরু করেন।

কিন্তু অন্য মামলার শুনানি চলাকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুববে আলম অন্য কোর্টে মামলা শুনানির জন্য যান। এর কিছু পরেই অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানির জন্য আদালতে উপস্থিত হলেও তখন অ্যাটর্নি জেনারেলে এ কোর্টে উপস্থিত ছিল না। ফলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতির জন্য সময় আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানির জন্য দুপুর ১২টা সময় নির্ধারণ করেন।

তবে ১২টার কিছু পর মামলার শুনানি শুরু হয়। খন্দকার মাহবুব হোসেন খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনের শুনানি শেষ করেন। অপর দিকে অ্যাটর্ জেনারেল শুনানির জন্য সময় চান। এরপর শুনানি আগামী রবিবার (১০ জুন) পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।

এর আগে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এরপর চলতি বছরের গত ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেফতার দেখানো পূর্বক জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সে আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেন বিচারিক আদালত। কিন্তু তার আগেই ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ জুন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এর প্রেক্ষিতেই আবেদনটি শুনানির জন্য আজ বৃহস্পতিবারের (৭ জুন) কার্যতালিকায় ছিল।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লার মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের আদেশ আগামী রোববার

আপডেট টাইম : ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনের শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সাথে ছিলেন, আইনজীবী মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, মাহবুবউদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, শুনানি শেষ হয়েছে। রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল এর বক্তব্য শুনে আদালত আদেশ দেবেন।

এর আগে সকাল ১১টায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ৩ নম্বর ক্রমিকে এলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানির জন্য আদালতে হাজির হতে না পারায় সময় চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। এসময় আদালত অন্য মামলায় শুনানি শুরু করেন।

কিন্তু অন্য মামলার শুনানি চলাকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুববে আলম অন্য কোর্টে মামলা শুনানির জন্য যান। এর কিছু পরেই অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানির জন্য আদালতে উপস্থিত হলেও তখন অ্যাটর্নি জেনারেলে এ কোর্টে উপস্থিত ছিল না। ফলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতির জন্য সময় আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানির জন্য দুপুর ১২টা সময় নির্ধারণ করেন।

তবে ১২টার কিছু পর মামলার শুনানি শুরু হয়। খন্দকার মাহবুব হোসেন খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনের শুনানি শেষ করেন। অপর দিকে অ্যাটর্ জেনারেল শুনানির জন্য সময় চান। এরপর শুনানি আগামী রবিবার (১০ জুন) পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।

এর আগে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এরপর চলতি বছরের গত ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেফতার দেখানো পূর্বক জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সে আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেন বিচারিক আদালত। কিন্তু তার আগেই ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ জুন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এর প্রেক্ষিতেই আবেদনটি শুনানির জন্য আজ বৃহস্পতিবারের (৭ জুন) কার্যতালিকায় ছিল।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।