বিশ্বে সুখী দেশের তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ব্রিটেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন সম্প্রতি তাদের এ সম্পর্কিত পুরো গবেষণা প্রকাশ করেছে।
এ গবেষণার ওয়েবপেজ এর লিংক নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
শুক্রবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি এ পেজ শেয়ার করেন।
গাল্ফ নিউজের এক প্রতিবেদনে ওই গবেষণা উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়নে পশ্চিমের বড় দেশগুলোকে পাশ কাটিয়ে বিশ্বের ছোট দেশগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের উদীয়মান সবচেয়ে সুখী দেশ কোস্টারিকা। অন্যদিকে মানব উন্নয়নে বাংলাদেশ জোরদার উন্নতি করেছে। ২০১৪ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে লোকবল নিয়োগ দিয়ে সারাবিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ। সীমিত সম্পদের মধ্যেও দেশটির অর্জন অনেক।
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির মুখে থাকা দেশটির জন্য এটা ছিল আবশ্যিক উদ্যোগ।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভালো করছে।
এ তালিকায় বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭০ দশমিক ৮ বছর দেখানো হয়েছে। এতে দেশটি ৩৮ দশমিক ৪ স্কোর পেয়ে বিশ্বের ১৪০টি দেশের মধ্যে ৮১তম স্থানে রয়েছে।
ভালো থাকার অবস্থানের দিক দিয়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট। বিশ্বে ১৪০টি দেশের মধ্যে দেশটির অবস্থান ৯৫। পরিবেশগত পদাঙ্কের বিচারে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
হ্যাপি প্ল্যানেট ইনডেক্স পরিমাপে সবার জন্য টেকসই জীবনযাপন বিবেচনায় নেওয়া হয়। এতে বিশ্বকে বলা হয়, দেশগুলো কিভাবে দীর্ঘ, সুখী ও টেকসই জীবন নিশ্চিত করতে পারে।
যেভাবে সূচক তৈরি হয়েছে
জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন ও আয়ু বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এবং এগুলো সমানভাবে সবার জন্য প্রযোজ্য কিনা তা দেখা হয়েছে। এরপর এর ফল প্রতিটি দেশের পরিবেশগত উদ্যোগের সঙ্গে মেলানো হয়।
তালিকায় প্রথম ১০টি দেশ
১. কোস্টারিকা ২. মেক্সিকো ৩. কলম্বিয়া ৪. ভানুয়াতু ৫. ভিয়েতনাম ৬. পানামা ৭. নিকারাগুয়া ৮. বাংলাদেশ ৯. থাইল্যান্ড ও ১০. ইকুয়েডর।
তালিকায় সবচেয়ে নিচে থাকা ১০ দেশ
১৪০. সাদ ১৩৯. লুক্সেমবার্গ ১৩৮. টোগো ১৩৭. বেনিন ১৩৬. মঙ্গোলিয়া ১৩৫. আইভরি কোস্ট ১৩৪. তুর্কমেনিস্তান ১৩৩. সিয়েরা লিওন ১৩২. সোয়াজিল্যান্ড ও ১৩১. বুরুন্ডি।