ঢাকা , সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় ৫৫ বাংলাদেশি শ্রমিক গ্রেপ্তার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাংলাদেশিসহ ৩৩৮ বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ৫৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে। তাদের দেশটির সাইবারজায়া এলাকার একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এ খবর নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলি। তিনি জানিয়েছেন, অভিবাসন অধিদপ্তর পরিচালিত এ অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে অপ্স মেগা ৩.০।

আটক হওয়াদের মধ্যে ৫৫ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ইন্দোনেশিয়ার ৩৬ জন পুরুষ ও ১৭২ জন নারী, মিয়ানমারের ২৫ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী এবং নেপালের ৪৭ জন পুরুষ রয়েছে। তিনি জানান, অভিযানের সময় তারা সেখানকার ২২৩০ জনকে পরীক্ষা করেছেন এবং ৩৩৮ জন বিদেশিকে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে মুস্তাফার উল্লেখ করেন, তারা অস্থায়ী কাজের অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে যাচ্ছিল।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, কোম্পানিগুলো বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশটির অভিবাসন আইন ভঙ্গ করছে। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা জানান, কাজের অনুমতি নেয়ার সময় শ্রমিকরা যে কোম্পানির নাম উল্লেখ করেছে সে কোম্পানি ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এছাড়া এ অভিযানে আটক অনেকেরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। কেউ কেউ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অবস্থান করছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়ায় ৫৫ বাংলাদেশি শ্রমিক গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাংলাদেশিসহ ৩৩৮ বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ৫৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে। তাদের দেশটির সাইবারজায়া এলাকার একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এ খবর নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলি। তিনি জানিয়েছেন, অভিবাসন অধিদপ্তর পরিচালিত এ অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে অপ্স মেগা ৩.০।

আটক হওয়াদের মধ্যে ৫৫ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ইন্দোনেশিয়ার ৩৬ জন পুরুষ ও ১৭২ জন নারী, মিয়ানমারের ২৫ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী এবং নেপালের ৪৭ জন পুরুষ রয়েছে। তিনি জানান, অভিযানের সময় তারা সেখানকার ২২৩০ জনকে পরীক্ষা করেছেন এবং ৩৩৮ জন বিদেশিকে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে মুস্তাফার উল্লেখ করেন, তারা অস্থায়ী কাজের অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে যাচ্ছিল।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, কোম্পানিগুলো বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশটির অভিবাসন আইন ভঙ্গ করছে। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা জানান, কাজের অনুমতি নেয়ার সময় শ্রমিকরা যে কোম্পানির নাম উল্লেখ করেছে সে কোম্পানি ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এছাড়া এ অভিযানে আটক অনেকেরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। কেউ কেউ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অবস্থান করছিলেন।