অভিনয়ে পথচলার সাফল্যের একযুগ পার করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। ২০০৬ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবার মধ্যদিয়ে পেশাগতভাবে অভিনয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন তিনি। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েই তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রথম চলচ্চিত্রেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন মম।
এরপর অবশ্য তিনি টিভি নাটকে অভিনয়েই বেশি ব্যস্ত হয়ে উঠেন। একের পর এক ভালো ভালো গল্পে, গুণী এবং নতুন নতুন পরিচালকদের নির্দেশনায় নাটকে, টেলিফিল্মে অভিনয় করে নিজেকে একজন জাত অভিনেত্রীতে পরিণত করেছেন মম। বিগত একযুগে অনেক দর্শকপ্রিয় নাটক টেলিফিল্ম উপহার দিয়েছেন তিনি। তার সহজাত অভিনয় দিয়ে নিজেকে পরিণত করেছেন দর্শকের প্রিয় একজন অভিনেত্রীতে।
দীর্ঘ এক যুগের এই পথচলাকে এক সংগ্রাম মুখর পথচলা হিসেবে আখ্যা দিয়ে মম বলেন, দীর্ঘ একযুগের এই পথচলা খুব সহজ ছিলো না। অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। নানান পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়ে চলতে হয়েছে, কাজ করতে হয়েছে।
মম বলেন, আমার এ দীর্ঘ পথ চলায় সহযোগিতা করার জন্য আমি অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে চাই মোস্তফা কামাল সৈয়দ স্যার, আলম স্যার, চ্যানেল আই’র সাগর ভাই’সহ পুরো পরিবার, এজাজ মুন্না, দীপংকর দীপন, আরটিভির মিনহাজ ভাই, সুবর্ণা মুস্তাফা আপা, সেলিম ভাই, জাহিদ ভাই, তৌকীর ভাই, বিপাশা আপু, মৌ আপু, ছন্দা আপু, দীপা আপু এবং বিশেষত তারিন আপুকে। কারণ তাদের কাছ থেকে আমি লাক্স চ্যানেল আই’র ইয়েস কার্ড পেয়েছিলাম। অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে চাই নির্মাতা শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল’সহ আমার অনেক নাটকের নায়ক অপূর্ব, সজল ও নাঈমকে।
মম আরো বলেন, আমার বাবা মায়ের দোয়া সবসময়ই আমার সাথে ছিলো। আর কায়েস চৌধুরী, সকাল আহমেদ এবং আনিসুর রহমান মিলন সবসময়ই আমাকে পরামর্শ দিয়ে দারুণ সহযোগিতা করেছেন। সর্বোপরি মহান আল্লাহ’র কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা, কৃতজ্ঞ আমার ভক্ত দর্শকের কাছে।
মম এরইমধ্যে শেষ করেছেন রায়হান রাফি’র ‘দহন’ চলচ্চিত্রটি। মম অভিনীত দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘ছুঁয়ে দিলে মন’। সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র অরুণ চৌধুরীর ‘আলতা বাণু’। গেলো ঈদে মম শিহাব শাহীনের নির্দেশনায় ‘বিনি সুতোর টান’ টেলিফিল্মে অপূর্ব’র ছেলে আয়াশের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। যদিও চরিত্রটি ছোট্ট ছিলো কিন্তু মম’র উপস্থিতি দর্শককে মুগ্ধ করেছিলো।