ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজও কর্মবিরতি পালন করছেন বেরোবির কর্মকর্তারা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কর্মকর্তারা। উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আমিনুর রহমানকে অব্যাহতি, ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফাকে সংস্থাপন শাখা থেকে অন্য দপ্তরে বদলিসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি করছেন তারা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দপ্তরের কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার দপ্তরের সামনে অবস্থান নেয়।

১১ দফার অন্যান্য দাবিগুলো হলো, পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্থায়ীকরণ অবিলম্বে সম্পন্ন করা, যেসব কর্মকর্তার পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন বোর্ড হয়নি তাদের বোর্ড দ্রুত সম্পন্ন করা, যেসব কর্মকর্তার পদবী বদল করা হয়েছে তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনা, সরকারি নিয়মে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম প্রস্তুত করা, প্রতিটি দপ্তরকে নিজস্ব কাজ বুঝিয়ে দিয়ে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করা, প্রশাসনিক ভবনে কক্ষ বরাদ্দের নিমিত্তে যে কমিটি গঠিত হয়েছে তাতে জ্যেষ্ঠতার নীতি অবলম্বন করা, ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ করা, হয়রানিমূলক বদলীকৃত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দপ্তরে পুণর্বহালকরা, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে স্বতন্ত্রতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের অধীন কর্মকর্তার নজরদারি বন্ধ করা।

এ বিষয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্বাস উপাচার্য মহোদয় আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন। অন্যথায় আমাদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কমিলমউল্লাহ এবং রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

আজও কর্মবিরতি পালন করছেন বেরোবির কর্মকর্তারা

আপডেট টাইম : ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কর্মকর্তারা। উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আমিনুর রহমানকে অব্যাহতি, ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফাকে সংস্থাপন শাখা থেকে অন্য দপ্তরে বদলিসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি করছেন তারা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দপ্তরের কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার দপ্তরের সামনে অবস্থান নেয়।

১১ দফার অন্যান্য দাবিগুলো হলো, পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্থায়ীকরণ অবিলম্বে সম্পন্ন করা, যেসব কর্মকর্তার পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন বোর্ড হয়নি তাদের বোর্ড দ্রুত সম্পন্ন করা, যেসব কর্মকর্তার পদবী বদল করা হয়েছে তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনা, সরকারি নিয়মে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম প্রস্তুত করা, প্রতিটি দপ্তরকে নিজস্ব কাজ বুঝিয়ে দিয়ে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করা, প্রশাসনিক ভবনে কক্ষ বরাদ্দের নিমিত্তে যে কমিটি গঠিত হয়েছে তাতে জ্যেষ্ঠতার নীতি অবলম্বন করা, ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ করা, হয়রানিমূলক বদলীকৃত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দপ্তরে পুণর্বহালকরা, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে স্বতন্ত্রতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের অধীন কর্মকর্তার নজরদারি বন্ধ করা।

এ বিষয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্বাস উপাচার্য মহোদয় আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন। অন্যথায় আমাদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কমিলমউল্লাহ এবং রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।