ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তামিমের পর সাকিবও ঝরে গেলেন

তামিম ইকবাল অধ্যায় শেষ। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান গত বছর টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাকি শুধু ওয়ানডে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে আভাস দিয়েছিলেন, পঁচিশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকাতে চান তিনি। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, রোববার (১২ জানুয়ারি) ঘোষণা হতে যাওয়া সেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

একে তো জাতীয় দলে সাকিবকে খেলানো এমনতেই ঝক্কির ব্যাপার। কারণ স্বৈরাচার এবং গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কারণে দেশে অনেকেই তাকে আর জাতীয় দলে দেখতে চান না। সাকিবকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। এছাড়া সাকিব যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন, তখন আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে তার দেশেই ফেরা হয়নি। তাই সাকিবকে দলে রাখা নিশ্চিতভাবেই বিতর্ককে আমন্ত্রণ জানানোর মতো একটি ব্যাপার হত কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

এর ওপর নতুন করে যোগ হয়েছে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিপত্তি। গতবছরে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ম্যাচ খেলতে গিয়ে এমন গোল বাঁধিয়েছেন সাকিব, যে এখন তার বোলিং করাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। সারের হয়ে সে ম্যাচে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর সাকিবকে পরীক্ষা দিতে বলে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। পরে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে সাকিব পরীক্ষা দিয়ে ‘ফেল’ করেন। এরপর গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে ফের পরীক্ষা দেন সাকিব, ফলাফল একই।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আগামীকাল রোববারের মধ্যে দল ঘোষণা করতে হবে বিসিবিকে। ১৫ জনের এই দলে সাকিবের না থাকা তাই একপ্রকার নিশ্চিত-ই।

যদিও বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলগুলোকে ঘোষিত স্কোয়াডে পরিবর্তনের সুযোগ দেবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দলগুলো স্কোয়াডে পরিবর্তন আনতে পারবে। সাকিব যদি সে সময়ের মধ্যে বোলিং অ্যাকশন শোধরাতে পারেন, তাহলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ পেলেও পেতে পারবেন। তবে সে সম্ভাবনাও সুদূর পরাহত বলেই ইঙ্গিত মিলেছে।

যদি শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ না পান, তাহলে কি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হবে সাকিবের? সে প্রশ্নের উত্তর আপাতত সময়ের কাছেই তোলা থাকছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তামিমের পর সাকিবও ঝরে গেলেন

আপডেট টাইম : ২৭ মিনিট আগে

তামিম ইকবাল অধ্যায় শেষ। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান গত বছর টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাকি শুধু ওয়ানডে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে আভাস দিয়েছিলেন, পঁচিশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকাতে চান তিনি। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, রোববার (১২ জানুয়ারি) ঘোষণা হতে যাওয়া সেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

একে তো জাতীয় দলে সাকিবকে খেলানো এমনতেই ঝক্কির ব্যাপার। কারণ স্বৈরাচার এবং গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কারণে দেশে অনেকেই তাকে আর জাতীয় দলে দেখতে চান না। সাকিবকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। এছাড়া সাকিব যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন, তখন আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে তার দেশেই ফেরা হয়নি। তাই সাকিবকে দলে রাখা নিশ্চিতভাবেই বিতর্ককে আমন্ত্রণ জানানোর মতো একটি ব্যাপার হত কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

এর ওপর নতুন করে যোগ হয়েছে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিপত্তি। গতবছরে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ম্যাচ খেলতে গিয়ে এমন গোল বাঁধিয়েছেন সাকিব, যে এখন তার বোলিং করাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। সারের হয়ে সে ম্যাচে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর সাকিবকে পরীক্ষা দিতে বলে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। পরে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে সাকিব পরীক্ষা দিয়ে ‘ফেল’ করেন। এরপর গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে ফের পরীক্ষা দেন সাকিব, ফলাফল একই।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আগামীকাল রোববারের মধ্যে দল ঘোষণা করতে হবে বিসিবিকে। ১৫ জনের এই দলে সাকিবের না থাকা তাই একপ্রকার নিশ্চিত-ই।

যদিও বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলগুলোকে ঘোষিত স্কোয়াডে পরিবর্তনের সুযোগ দেবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দলগুলো স্কোয়াডে পরিবর্তন আনতে পারবে। সাকিব যদি সে সময়ের মধ্যে বোলিং অ্যাকশন শোধরাতে পারেন, তাহলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ পেলেও পেতে পারবেন। তবে সে সম্ভাবনাও সুদূর পরাহত বলেই ইঙ্গিত মিলেছে।

যদি শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ না পান, তাহলে কি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হবে সাকিবের? সে প্রশ্নের উত্তর আপাতত সময়ের কাছেই তোলা থাকছে।