ঢাকা , রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাল মাওলানা ভাসানী

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু

 

নির্লোভ এক নেতার নাম মাওলানা ভাসানী ।

সাতচল্লিশের ভারত থেকে পাকিস্তান

একাত্তরে পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা,

লালা সবুজের বাংলাদেশের স্বাধীনতায়

মাওলানার ভূমিকা ছিলো অগ্রণী

ক্ষমতার মোহহীন এক নেতার নাম,

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

উন্নিশো ছাব্বিশ সালে  আসামে প্রথম

কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটান তিনি ।

উন্নিশো ঊনত্রিশ সালে  আসামের ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে

প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন আয়োজন ।

এখান থেকে তার নাম রাখা হয় “ভাসানীর মাওলানা”

এরপর থেকে তার নামের শেষে যুক্ত হয় ভাসানী ।

তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা

পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন ।

পাকিস্তানের

অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো,

উন্নিশো  সাতান্ন সালে কাগমারী সম্মেলনে

পাকিস্তানকে বলে ছিলেন, “ওয়ালাইকুম আসসালাম “,

সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।

এই ভূখন্ডের মজলুমের মুক্তির পথে প্রথম পথিকৃৎ

“বাংলাদেশ” ও “বাংলা” ভাষার পথিকৃৎ ছিলেন ভাসানী।

সেই ব্রিটিশ আমলেই সর্বপ্রথম ব্যক্তি হিসাবেই

আসাম অ্যাসেম্বলিতে মাতৃভাষা বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন।

“লাল মাওলানা ” মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী

বিংশ শতকী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ,

গণআন্দোলনের নায়ক,”মজলুম জননেতা “র

“ফারাক্কার লং মার্চ”র কথা জাতি  রাখিবে স্মরণ,

ভুলিবেনা  অসুস্থ্য শরীরে,

সত্তরের বন্যা কবলিত দুঃস্থদের কাছে ছুটে  যাওয়া,

দু ‘চার কথায়, মাওলানার কথা লিখে শেষ করা যাবে না ।

আঠারোশো আশি সালের বারো ডিসেম্বরে

সিরাগঞ্জের জন্ম গ্রহণ করেন, “লাল মাওলানা ভাসানী”,

অদ্যাবধি ভাসানীর মতো নির্লোভ , জনদরদী নেতা এই বঙ্গে আসেনি !

উন্নিশো ছিয়াত্তর সালের সতের  নভেম্বর ,মহান নেতা

শূন্য হাতে চলে যান পরপারে ,মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ।

দিয়ে যান ভাষা ,স্বাধীনতা ,ইতিহাস ,জেল জুলুম ,অনশন আন্দোলনের ইতিহাস।

বাবর আলী মজলুম জননেতা লাল মাওলানা কে জানায় লাল সালাম

মানবতার দিশারী জান্নাতে সুখে থাকেন জান্নাতে,

যত দিন রবে ,বাংলাদেশ,যত দিন রবে পৃথিবী ,জাতি তোমার কাছে থাকবে ঋণী

হে মহান মজলুম জননেতা ,লাল মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

লাল মাওলানা ভাসানী

আপডেট টাইম : ০৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু

 

নির্লোভ এক নেতার নাম মাওলানা ভাসানী ।

সাতচল্লিশের ভারত থেকে পাকিস্তান

একাত্তরে পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা,

লালা সবুজের বাংলাদেশের স্বাধীনতায়

মাওলানার ভূমিকা ছিলো অগ্রণী

ক্ষমতার মোহহীন এক নেতার নাম,

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

উন্নিশো ছাব্বিশ সালে  আসামে প্রথম

কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটান তিনি ।

উন্নিশো ঊনত্রিশ সালে  আসামের ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে

প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন আয়োজন ।

এখান থেকে তার নাম রাখা হয় “ভাসানীর মাওলানা”

এরপর থেকে তার নামের শেষে যুক্ত হয় ভাসানী ।

তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা

পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন ।

পাকিস্তানের

অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো,

উন্নিশো  সাতান্ন সালে কাগমারী সম্মেলনে

পাকিস্তানকে বলে ছিলেন, “ওয়ালাইকুম আসসালাম “,

সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।

এই ভূখন্ডের মজলুমের মুক্তির পথে প্রথম পথিকৃৎ

“বাংলাদেশ” ও “বাংলা” ভাষার পথিকৃৎ ছিলেন ভাসানী।

সেই ব্রিটিশ আমলেই সর্বপ্রথম ব্যক্তি হিসাবেই

আসাম অ্যাসেম্বলিতে মাতৃভাষা বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন।

“লাল মাওলানা ” মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী

বিংশ শতকী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ,

গণআন্দোলনের নায়ক,”মজলুম জননেতা “র

“ফারাক্কার লং মার্চ”র কথা জাতি  রাখিবে স্মরণ,

ভুলিবেনা  অসুস্থ্য শরীরে,

সত্তরের বন্যা কবলিত দুঃস্থদের কাছে ছুটে  যাওয়া,

দু ‘চার কথায়, মাওলানার কথা লিখে শেষ করা যাবে না ।

আঠারোশো আশি সালের বারো ডিসেম্বরে

সিরাগঞ্জের জন্ম গ্রহণ করেন, “লাল মাওলানা ভাসানী”,

অদ্যাবধি ভাসানীর মতো নির্লোভ , জনদরদী নেতা এই বঙ্গে আসেনি !

উন্নিশো ছিয়াত্তর সালের সতের  নভেম্বর ,মহান নেতা

শূন্য হাতে চলে যান পরপারে ,মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ।

দিয়ে যান ভাষা ,স্বাধীনতা ,ইতিহাস ,জেল জুলুম ,অনশন আন্দোলনের ইতিহাস।

বাবর আলী মজলুম জননেতা লাল মাওলানা কে জানায় লাল সালাম

মানবতার দিশারী জান্নাতে সুখে থাকেন জান্নাতে,

যত দিন রবে ,বাংলাদেশ,যত দিন রবে পৃথিবী ,জাতি তোমার কাছে থাকবে ঋণী

হে মহান মজলুম জননেতা ,লাল মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।