ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বন্ধু’ হাসপাতালে ভর্তি, দরজায় দাঁড়িয়ে ৪ কুকুর

বাঙালী কণ্ঠ  নিউজঃ তারা কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করে না। এমনকি বিপদের মুহূর্তে কখনও ছেড়ে চলে যায় না…কুকুরদের নিয়ে এমন কথা হর-হামেশাই শুনতে পাওয়া যায়। সত্য তো বটেই। তা আরও একবার প্রমাণ হল ব্রাজিলের একটি ঘটনায়।

সান্তা ক্যাটারিনার হসপিটাল রিজিওন্যাল অল্টো ভ্যালেতে ভীষণ অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হন সিজার নামে এক তরুণ। দেখার কেউ নেই তার। তবে, ওই তরুণের ভর্তির সময় হাসপাতালের দরজার সামনে ঠায় দাঁড়িয়েছিল ৪টি কুকুর। ওই হাসপাতালের নার্স ক্রিস ম্যামপ্রিম ফেসবুকে জানিয়েছেন, রাত যখন ৪টা বাজে, ওই জায়গা থেকে এক চুলও সরেনি সারমেয়রা। ক্রিসের কথায়, প্রত্যেকের বিষন্ন মুখ। ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে তারা। কুকুরদের এমন শিষ্ঠাচার দেখে অবাক হয়েছেন হাসাপতালের কর্মীরাও।

ওই কুকুরদের সঙ্গে সিজারের কী সম্পর্ক? নিশ্চয়ই এমন কৌতূহল জাগছে। ভবঘুরে সিজারের জীবন কাটে ফুটপাথেই। কপালে খাবার জুটলে পেট ভরায়, কোনওদিন আবার তা-ও হয় না। কিন্তু যে দিন খাবার জোটে, তার প্রথম ভাগ যায় ওই ৪ কুকুরের জন্য। সুখে-দুঃখে সবসময়ের সঙ্গী হয়ে পাশে থাকে কুকুর। সিজার যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, কুকুরগুলোর তৎপরতায় বাধ্য হয়ে পথচারীরা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় তাকে।

ক্রিসে জানিয়েছেন, ভোরে কিছুটা সুস্থ হন সিজার। এরপর তার কাছে কুকুরদের যেতে অনুমতি দেওয়া হয়। ক্রিসের কথায়, ওই কুকুরদের ভদ্রতা দেখে অবাক তিনি। যত ক্ষণ না তাদের ভেতরে ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, ‘বন্ধুর’ অপেক্ষায় বাইরে চুপটি করে বসেছিল তারা। পরে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে সিজার এবং ৪ কুকুরকে খাবার দেওয়া হয়। ‘বন্ধুর’ সুস্থতার ট্রিট পেয়ে ভীষণ খুশি তারা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

‘বন্ধু’ হাসপাতালে ভর্তি, দরজায় দাঁড়িয়ে ৪ কুকুর

আপডেট টাইম : ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ  নিউজঃ তারা কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করে না। এমনকি বিপদের মুহূর্তে কখনও ছেড়ে চলে যায় না…কুকুরদের নিয়ে এমন কথা হর-হামেশাই শুনতে পাওয়া যায়। সত্য তো বটেই। তা আরও একবার প্রমাণ হল ব্রাজিলের একটি ঘটনায়।

সান্তা ক্যাটারিনার হসপিটাল রিজিওন্যাল অল্টো ভ্যালেতে ভীষণ অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হন সিজার নামে এক তরুণ। দেখার কেউ নেই তার। তবে, ওই তরুণের ভর্তির সময় হাসপাতালের দরজার সামনে ঠায় দাঁড়িয়েছিল ৪টি কুকুর। ওই হাসপাতালের নার্স ক্রিস ম্যামপ্রিম ফেসবুকে জানিয়েছেন, রাত যখন ৪টা বাজে, ওই জায়গা থেকে এক চুলও সরেনি সারমেয়রা। ক্রিসের কথায়, প্রত্যেকের বিষন্ন মুখ। ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে তারা। কুকুরদের এমন শিষ্ঠাচার দেখে অবাক হয়েছেন হাসাপতালের কর্মীরাও।

ওই কুকুরদের সঙ্গে সিজারের কী সম্পর্ক? নিশ্চয়ই এমন কৌতূহল জাগছে। ভবঘুরে সিজারের জীবন কাটে ফুটপাথেই। কপালে খাবার জুটলে পেট ভরায়, কোনওদিন আবার তা-ও হয় না। কিন্তু যে দিন খাবার জোটে, তার প্রথম ভাগ যায় ওই ৪ কুকুরের জন্য। সুখে-দুঃখে সবসময়ের সঙ্গী হয়ে পাশে থাকে কুকুর। সিজার যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, কুকুরগুলোর তৎপরতায় বাধ্য হয়ে পথচারীরা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় তাকে।

ক্রিসে জানিয়েছেন, ভোরে কিছুটা সুস্থ হন সিজার। এরপর তার কাছে কুকুরদের যেতে অনুমতি দেওয়া হয়। ক্রিসের কথায়, ওই কুকুরদের ভদ্রতা দেখে অবাক তিনি। যত ক্ষণ না তাদের ভেতরে ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, ‘বন্ধুর’ অপেক্ষায় বাইরে চুপটি করে বসেছিল তারা। পরে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে সিজার এবং ৪ কুকুরকে খাবার দেওয়া হয়। ‘বন্ধুর’ সুস্থতার ট্রিট পেয়ে ভীষণ খুশি তারা।