ঢাকা , শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত আহম্মদপুর সাইক্লোন শেল্টার ৪৯ বছর পরও নির্মাণ হয়নি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাধ্যম আহম্মদপুর গ্রামে ১৯৭০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নির্মিত হয় সাইক্লোন শেল্টার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ওই সাইক্লোন শেল্টারে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি থাকায় ভাংচুর করেছিল পাক মিলিটারি বাহিনী।

এবং ওইদিন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মানু মিয়াকে খুন করেছিল পাক বাহিনীর দোসররা। ১৯৭২ সালে ক্ষতিগ্রস্ত ওই সাইক্লোন শেল্টার পরিত্যক্ত ঘোষনা করেছিল সরকার। প্রায় ৪৯ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণকৃত সেই সাইক্লোন শেল্টার সংস্কার অথবা পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি সরকার।

জমিদাতা মুন্সি শামছুল হকের ছেলে জয়নাল আবদীন বলেন, ঘুর্নিঝড় চলাকালে জান মালের ক্ষতি নিয়ন্ত্রন করতে তৎকালিন সরকার আশ্রয় কেন্দ্র নির্মানের উদ্যোগ নেয়। সরকারের চাহিদা অনুযায়ী ৩০ শতক জমি দান করেন।

যুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাইক্লোন শেল্টারটি নির্মানের মাত্র একবছর পর পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়। এরপর অনেক সরকার আইলো গেলো কেউ নির্মানের উদ্যোগ নেয়নি। প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় আমিন উদ্দিন মুন্সি বাজার অথবা মানু মিয়ার বাজার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হাই মিষ্টার বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় এখানকার লোকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিষয়টি সংশ্লিস্ট দপ্তর গুলোতে বার বার অবহিত করা হয়েছে। ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল এলাকা পরিদর্শন করে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ উপযোগী স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে এটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, ঘনবসতি পুর্ন মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামে প্রায় ৭ হাজার লোকের বসবাস। উক্ত গ্রামে নির্ধারিত স্থানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘুর্নিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত আহম্মদপুর সাইক্লোন শেল্টার ৪৯ বছর পরও নির্মাণ হয়নি

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাধ্যম আহম্মদপুর গ্রামে ১৯৭০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নির্মিত হয় সাইক্লোন শেল্টার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ওই সাইক্লোন শেল্টারে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি থাকায় ভাংচুর করেছিল পাক মিলিটারি বাহিনী।

এবং ওইদিন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মানু মিয়াকে খুন করেছিল পাক বাহিনীর দোসররা। ১৯৭২ সালে ক্ষতিগ্রস্ত ওই সাইক্লোন শেল্টার পরিত্যক্ত ঘোষনা করেছিল সরকার। প্রায় ৪৯ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণকৃত সেই সাইক্লোন শেল্টার সংস্কার অথবা পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি সরকার।

জমিদাতা মুন্সি শামছুল হকের ছেলে জয়নাল আবদীন বলেন, ঘুর্নিঝড় চলাকালে জান মালের ক্ষতি নিয়ন্ত্রন করতে তৎকালিন সরকার আশ্রয় কেন্দ্র নির্মানের উদ্যোগ নেয়। সরকারের চাহিদা অনুযায়ী ৩০ শতক জমি দান করেন।

যুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাইক্লোন শেল্টারটি নির্মানের মাত্র একবছর পর পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়। এরপর অনেক সরকার আইলো গেলো কেউ নির্মানের উদ্যোগ নেয়নি। প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় আমিন উদ্দিন মুন্সি বাজার অথবা মানু মিয়ার বাজার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হাই মিষ্টার বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় এখানকার লোকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিষয়টি সংশ্লিস্ট দপ্তর গুলোতে বার বার অবহিত করা হয়েছে। ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল এলাকা পরিদর্শন করে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ উপযোগী স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে এটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, ঘনবসতি পুর্ন মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামে প্রায় ৭ হাজার লোকের বসবাস। উক্ত গ্রামে নির্ধারিত স্থানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘুর্নিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।