ঢাকা , রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেতু নির্মাণের আগেই ভেঙে পড়ল গার্ডার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর দুইটি বৃহৎ আকারের গার্ডার ভেঙে পড়েছে। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ২০ জন শ্রমিক। রবিবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, জাইকার অর্থায়নে পিডব্লিউ-০৩ প্যাকেজের আওতায় সেতুটি নির্মাণ করছে মনিকা লিমিটেড। দেড় বছর ধরে পাইলিং ও মাটি ভরাটের কাছ শেষে এখন সেতুর দুই পাশে গার্ডার দেয়ার কাজ চলছিল।

কোম্পানির ম্যাসেঞ্জার ওলিউর রহমান জুয়েল জানান, জগ দিয়ে গার্ডার স্থানান্তর করার সময় অসাবধানতাবশত প্রায় একশ ফুট দৈর্ঘ্যের গার্ডার দুইটি নিচে পড়ে যায়। শ্রমিকরা এ সময় খাবার গ্রহণ করায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, কাজে ত্রুটি থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, সেতুর কাজে ব্যবহৃত পাইপ ও সার্টারগুলো দীর্ঘ দিনের পুরানো ও মরিচা ধরা। প্রায় দেড়শ টন ওজনের দুইটি গার্ডারের ভর সইতে না পারায় গার্ডার দুইটি পড়ে গেছে।

এ নিয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুস সালাম গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। সাইট ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন জানান, বিষয়টি জেনে বুঝে বলা যাবে। তবে নিশ্চয় কাজে কোন ত্রুটি ছিল।

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, আমরা এ কাজের দেখভাল করছি না। ঢাকা থেকে একটি প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজটি হচ্ছে। এই প্রজেক্টের একটি অফিস যশোরে আছে। তাদের সাথে কথা বলুন। আমরা সেতু নির্মাণের কোন খোঁজই রাখি না বলে নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

সেতু নির্মাণের আগেই ভেঙে পড়ল গার্ডার

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর দুইটি বৃহৎ আকারের গার্ডার ভেঙে পড়েছে। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ২০ জন শ্রমিক। রবিবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, জাইকার অর্থায়নে পিডব্লিউ-০৩ প্যাকেজের আওতায় সেতুটি নির্মাণ করছে মনিকা লিমিটেড। দেড় বছর ধরে পাইলিং ও মাটি ভরাটের কাছ শেষে এখন সেতুর দুই পাশে গার্ডার দেয়ার কাজ চলছিল।

কোম্পানির ম্যাসেঞ্জার ওলিউর রহমান জুয়েল জানান, জগ দিয়ে গার্ডার স্থানান্তর করার সময় অসাবধানতাবশত প্রায় একশ ফুট দৈর্ঘ্যের গার্ডার দুইটি নিচে পড়ে যায়। শ্রমিকরা এ সময় খাবার গ্রহণ করায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, কাজে ত্রুটি থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, সেতুর কাজে ব্যবহৃত পাইপ ও সার্টারগুলো দীর্ঘ দিনের পুরানো ও মরিচা ধরা। প্রায় দেড়শ টন ওজনের দুইটি গার্ডারের ভর সইতে না পারায় গার্ডার দুইটি পড়ে গেছে।

এ নিয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুস সালাম গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। সাইট ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন জানান, বিষয়টি জেনে বুঝে বলা যাবে। তবে নিশ্চয় কাজে কোন ত্রুটি ছিল।

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, আমরা এ কাজের দেখভাল করছি না। ঢাকা থেকে একটি প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজটি হচ্ছে। এই প্রজেক্টের একটি অফিস যশোরে আছে। তাদের সাথে কথা বলুন। আমরা সেতু নির্মাণের কোন খোঁজই রাখি না বলে নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান।