ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগাম শীতের সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক

বাঙালী কন্ঠঃ সিরাজগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে সবজি চাষের ধুম পড়েছে। শীতের আগেই আগাম শাকসবজি বাজারে তুলতে পারলেই অধিক টাকা উপার্জন করা সম্ভব বলে চারা লতরি ও জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক।

সিরাজগঞ্জ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার নয়টি উপজেলায় দুই হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। বেগুন, মুলা, টমেটো, শিম, বরবটি, শসা, লাউ, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্ষীরাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করার লক্ষ্য নিয়ে কৃষকরা মাঠে নেমেছে। সিরাজগঞ্জ সদর, চৌহালী, রায়গঞ্জ, বেলকুচি ও কামারখন্দ উপজেলায় ব্যাপকহারে শাকসবজি চাষ হয়।

সম্প্রতি চাষিরা সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় আগাম চাষে ঝুঁকে পড়েছে। আগাম সবজির মধ্যে রয়েছে মুলা, বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধা কপি, লালশাক, তিতা করলা, টমেটো, ঢেরশ, পালং শাক ও পুঁই শাক ইত্যাদি। তবে সামান্য বৃষ্টি হওয়াতে সবজি চাষ আগের চেয়ে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী জানান, যে কোনো সবজি যদি মৌসুমের শুরুতে বাজারে তোলা যায়, তবে তার দাম বেশি পাওয়া যায়। এ ছাড়া জেলা সদর, কামারখন্দ, বেলকুচি, তাড়াশ, রায়গঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক হারে সবজি চাষ হয়।

এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ সবজি স্থানীয় ভাবে চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্ষেত থেকে আগাছা পরিষ্কার এবং পর্যাপ্ত পানি দিচ্ছে। কেউ কেউ ফসলের উপর বিভিন্ন পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কীটনাশক ছিটিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি জমিতেই ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষক যত্ন সহকারে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে মাঠ থেকে পরিপূর্ণ ফল তুলতে আরও সময় লাগবে।

কৃষকদের দাবি, কৃষি বিভাগের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। যার কারণে ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে তাদের খরচও একটু বেশি পড়ে।

সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সরকার জানান, এবার সবজির ভালো ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুল হক বলেন, সার্বক্ষণিক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আগাম শীতের সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক

আপডেট টাইম : ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাঙালী কন্ঠঃ সিরাজগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে সবজি চাষের ধুম পড়েছে। শীতের আগেই আগাম শাকসবজি বাজারে তুলতে পারলেই অধিক টাকা উপার্জন করা সম্ভব বলে চারা লতরি ও জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক।

সিরাজগঞ্জ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার নয়টি উপজেলায় দুই হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। বেগুন, মুলা, টমেটো, শিম, বরবটি, শসা, লাউ, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্ষীরাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করার লক্ষ্য নিয়ে কৃষকরা মাঠে নেমেছে। সিরাজগঞ্জ সদর, চৌহালী, রায়গঞ্জ, বেলকুচি ও কামারখন্দ উপজেলায় ব্যাপকহারে শাকসবজি চাষ হয়।

সম্প্রতি চাষিরা সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় আগাম চাষে ঝুঁকে পড়েছে। আগাম সবজির মধ্যে রয়েছে মুলা, বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধা কপি, লালশাক, তিতা করলা, টমেটো, ঢেরশ, পালং শাক ও পুঁই শাক ইত্যাদি। তবে সামান্য বৃষ্টি হওয়াতে সবজি চাষ আগের চেয়ে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী জানান, যে কোনো সবজি যদি মৌসুমের শুরুতে বাজারে তোলা যায়, তবে তার দাম বেশি পাওয়া যায়। এ ছাড়া জেলা সদর, কামারখন্দ, বেলকুচি, তাড়াশ, রায়গঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক হারে সবজি চাষ হয়।

এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ সবজি স্থানীয় ভাবে চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্ষেত থেকে আগাছা পরিষ্কার এবং পর্যাপ্ত পানি দিচ্ছে। কেউ কেউ ফসলের উপর বিভিন্ন পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কীটনাশক ছিটিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি জমিতেই ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষক যত্ন সহকারে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে মাঠ থেকে পরিপূর্ণ ফল তুলতে আরও সময় লাগবে।

কৃষকদের দাবি, কৃষি বিভাগের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। যার কারণে ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে তাদের খরচও একটু বেশি পড়ে।

সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সরকার জানান, এবার সবজির ভালো ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুল হক বলেন, সার্বক্ষণিক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।