ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিন্দুকে রাখা ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বাতিল হচ্ছে

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ সম্প্রতি দেশে ক্যাসিনো, জুয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকের বাসা, অফিসে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে। আটক করা হয়েছে একাধিক ব্যক্তিকে। উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার কোনো আয়ের উৎস বলতে পারছে না আটককৃতরা। কালোবাজারি, মাদক, জুয়া, ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে এসব জমানো অর্থ। অবৈধভাবে আয়ের সব টাকাই বাসা-বাড়িতে জমিয়ে রাখছেন সংশ্লিষ্টরা।

অভিযানে দেখা গেছে, উদ্ধার হওয়া অর্থের মধ্যে বেশির ভাগ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। দেশের সবচেয়ে বড়মানের টাকা ৫০০ ও ১০০০। জমাতে সুবিধা হওয়ায় তারা এ দুটি নোট পছন্দ করছেন। ফলে ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর রাজস্ব, আয়কর না দিয়ে অনেকেই বাসা-বাড়ি, অফিসে কোটি কোটি টাকা রাখছেন।

এত বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বাসা-বাড়িতে রাখায় বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজের কাছে নগদ রাখা এ বিপুল অর্থের পুরোটাই অপ্রদর্শিত। এসব অর্থের বেশির ভাগ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট।  ভারতে বিপুল পরিমাণ অর্থ এভাবে ঘরে রাখায় ২০১৬ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে এভাবে বাতিল করলে অনেকে বিপাকে পড়বেন। তাই কোনো কোনো মহল থেকে প্রস্তাব উঠেছে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে নতুন টাকা  ছাপানো উচিত। কারও কাছে এমন টাকা থাকলে সরকারি আইন ও নিয়মনীতি মেনে তা ব্যাংকে জমা দিয়ে নতুন টাকা নেবে। এতে সরকারের আয় যেমন বাড়বে, তেমনি দেশে বিনিয়োগও বাড়বে।

ভারত সরকার দেশের এ অবৈধ জমানো টাকা মূলস্রোতে বা বিনিয়োগে নিয়ে আসতে ২০১৬ সালের নভেম্বরে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে। ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেন অনেকাংশে দুই বড়মানের নোটের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে। সব বড় নোট বাতিল করার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের লেনদেনের ক্ষেত্রে বড় সফলতা পেয়েছে দেশটি। এক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে লেনদেনের বিস্তৃতি বেড়েছে। আর এতে আয়ের ওপর আরোপনীয় কর বিশেষ করে আয়কর ও মূল্যসংযোজন কর পরিশোধে বাধ্য হচ্ছে লেনদেনকারীরা। এর বাইরে বেআইনিভাবে প্রাপ্ত বা আয়কর ফাঁকি দিয়ে ব্যাংকব্যবস্থার বাইরে গৃহে রক্ষিত সম্পদ দুর্নীতি, ঘুষের অর্থ সাধারণত বড় নোট যথা ৫০০ ও ১০০০ টাকা রাখা হয়ে থাকে। ভারত সরকার বড় নোট বাতিল করার পর এসব দুর্নীতিবাজের অবৈধ সঞ্চয় আহরণ ও রক্ষাকরণের সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশে এসব নোট বাতিল করা হলে একই সুবিধা পাবে সরকার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সিন্দুকে রাখা ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বাতিল হচ্ছে

আপডেট টাইম : ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ সম্প্রতি দেশে ক্যাসিনো, জুয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকের বাসা, অফিসে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে। আটক করা হয়েছে একাধিক ব্যক্তিকে। উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার কোনো আয়ের উৎস বলতে পারছে না আটককৃতরা। কালোবাজারি, মাদক, জুয়া, ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে এসব জমানো অর্থ। অবৈধভাবে আয়ের সব টাকাই বাসা-বাড়িতে জমিয়ে রাখছেন সংশ্লিষ্টরা।

অভিযানে দেখা গেছে, উদ্ধার হওয়া অর্থের মধ্যে বেশির ভাগ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। দেশের সবচেয়ে বড়মানের টাকা ৫০০ ও ১০০০। জমাতে সুবিধা হওয়ায় তারা এ দুটি নোট পছন্দ করছেন। ফলে ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর রাজস্ব, আয়কর না দিয়ে অনেকেই বাসা-বাড়ি, অফিসে কোটি কোটি টাকা রাখছেন।

এত বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বাসা-বাড়িতে রাখায় বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজের কাছে নগদ রাখা এ বিপুল অর্থের পুরোটাই অপ্রদর্শিত। এসব অর্থের বেশির ভাগ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট।  ভারতে বিপুল পরিমাণ অর্থ এভাবে ঘরে রাখায় ২০১৬ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে এভাবে বাতিল করলে অনেকে বিপাকে পড়বেন। তাই কোনো কোনো মহল থেকে প্রস্তাব উঠেছে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে নতুন টাকা  ছাপানো উচিত। কারও কাছে এমন টাকা থাকলে সরকারি আইন ও নিয়মনীতি মেনে তা ব্যাংকে জমা দিয়ে নতুন টাকা নেবে। এতে সরকারের আয় যেমন বাড়বে, তেমনি দেশে বিনিয়োগও বাড়বে।

ভারত সরকার দেশের এ অবৈধ জমানো টাকা মূলস্রোতে বা বিনিয়োগে নিয়ে আসতে ২০১৬ সালের নভেম্বরে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে। ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেন অনেকাংশে দুই বড়মানের নোটের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে। সব বড় নোট বাতিল করার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের লেনদেনের ক্ষেত্রে বড় সফলতা পেয়েছে দেশটি। এক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে লেনদেনের বিস্তৃতি বেড়েছে। আর এতে আয়ের ওপর আরোপনীয় কর বিশেষ করে আয়কর ও মূল্যসংযোজন কর পরিশোধে বাধ্য হচ্ছে লেনদেনকারীরা। এর বাইরে বেআইনিভাবে প্রাপ্ত বা আয়কর ফাঁকি দিয়ে ব্যাংকব্যবস্থার বাইরে গৃহে রক্ষিত সম্পদ দুর্নীতি, ঘুষের অর্থ সাধারণত বড় নোট যথা ৫০০ ও ১০০০ টাকা রাখা হয়ে থাকে। ভারত সরকার বড় নোট বাতিল করার পর এসব দুর্নীতিবাজের অবৈধ সঞ্চয় আহরণ ও রক্ষাকরণের সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশে এসব নোট বাতিল করা হলে একই সুবিধা পাবে সরকার।