বাঙালী কন্ঠঃ ধানের উচ্চ ফলনশীল জাত উফশীর শততম জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের -ব্রির বিজ্ঞানীরা।
জাতীয় বীজবোর্ডের শততম সভায় নতুনতনটি জাত ব্রি ধান-৯৩, ব্রি ধান-৯৪ ও এবং ব্রি ধান-৯৫ এর অনুমোদনের মধ্য দিয়ে নতুন জাত উদ্ভাবনের সেঞ্চুরি পূর্ণ করল ব্রি।
ব্রির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন অনুমোদিত ব্রি ধান- ৯৩ হল স্বর্ণা-৫ এর বিশুদ্ধ সারি। এটি রোপা আমন মৌসুমের জাত।
এ ধানের গাছের উচ্চতা ১২৭ সেন্টিমিটার এবং জীবনকাল ১৩৭ দিন। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় সাড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৬ মেট্রিক টন। ধানের দানার রং লালচে, চাল মাঝারি মোটা ও সাদা। এক হাজার দানার ওজন ১৯ গ্রাম।
ব্রির বিজ্ঞানীর আশা করছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের স্বর্ণা চাষের এলাকায় এই জাতগুলো জনপ্রিয়তা পাবে।
নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে পুরনো জাতগুলোকে প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা গেলে বাড়তি জনসংখ্যার বিপরীতে বর্ধিত খাদ্য উৎপাদন সম্ভব বলেও মনে করছেন তারা।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্রি চারটি হাইব্রিডসহ আউশ, আমন ও বোরো ধানের সর্বমোট ৫০টি জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে,যার প্রতিটিই কোনো না কোনো বিশেষ গুণ ও বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। খরা, বন্যা, লবণ সহিঞ্চু; জিংক সমৃদ্ধ; প্রিমিয়াম কোয়ালিটি; ডায়াবেটিক রাইসসহ অধিক উচ্চফলনশীল বিভিন্ন জাত রয়েছে এর মধ্যে।ব্রির দাবি, তাদের উদ্ভাবিত নতুন জাত ও প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের ফলে বর্তমানে চালের উৎপাদন প্রতি বছর গড়ে ৪.৮৮ লাখ টন হারে বেড়েছে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত আছে।
ব্রি জানিয়েছে, সত্তরের দশকে এদেশে ধানের ফলন ছিল হেক্টর প্রতি ২ মেট্রিক টনের নিচে। আর এখন ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে প্রায় ৫ টন।