অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণে পিয়াজ রপ্তানি সমপূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। রোববার দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাৎক্ষণিকভাবে তা কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধের
এ ঘোষণা কার্যকর থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ভারতে পিয়াজের দাম বেড়েই চলছিলো। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে কেজিপ্রতি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ রুপিতে। ফলে পিয়াজের দামের এই ঊর্ধ্বগতি থামাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এর রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার।
এ নিয়ে ভারত সরকারের প্রিন্সিপাল মুখপাত্র সীতাংশু কর সরকারের এই নির্দেশনা নিশ্চিত করে একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্র সব ধরনের পিয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
এ ছাড়া, ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় পিয়াজ রপ্তানি সমপূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ যদি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত মেনে না নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুধু রপ্তানি নয়, ভারত সরকার পিয়াজ মজুতের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ ১০০ কুইন্টাল ও পাইকারি বিক্রেতারা সর্বোচ্চ ৫০০ কুইন্টাল পিয়াজ মজুত রাখতে পারবে বলে ওই ঘোষণায় জানানো হয়েছে।
ভারতের যেসব রাজ্যে পিয়াজ বেশি উৎপন্ন হয়, সেসব রাজ্যে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে দেশব্যাপী পিয়াজের লাগামছাড়া দাম বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কমদামে সরকারিভাবে পিয়াজ বিক্রির ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার কেজরিওয়াল জানান, রাজ্য সরকার ২৩.৯০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি করবে।
এদিকে ভারতে পিয়াজের দাম বাড়ায় তার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারেও। ঢাকায় রোববার দেশি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকা দরে। অপরদিকে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এ ছাড়া দেশি কিং জাতের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে।