ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্যরকম কুমড়া চাষী

কুমড়া চাষে ভাগ্য পাল্টেছেন জেমস ম্যাক্সে। তিনি যেদিকে তাকান সেদিকেই কুমড়া। তার কুমড়ার খামার দেখতে শুধু এই অক্টোবরে ছুটে গিয়েছেন কমপক্ষে এক লাখ পর্যবেক্ষক। অথচ মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি শুধু পকেট মানি যোগাড় করার জন্য শুরু করেছিলেন কুমড়া চাষ। নিজেদের পারিবারিক খামারে এক কোণায় সামান্য অংশে শুরু হয়েছিল তার এই কাজ। তারপর সাত বছর ধরে তিনি অব্যাহতভাবে এই কাজ চালিয়ে আসছেন। কিন্তু সেই পকেটমানির টান তাকে এখন একজন পুরোদস্তুর খামারি বানিয়ে দিয়েছে। তিনি এখন ২০ রকম ভিন্ন ভিন্ন আকার, সাইজ ও রঙের কুমড়া চাষ করছেন।

নটিংহ্যামশায়ারে কির্কলিঙ্গটনে এখন ৬ একরে তার খামার।
এ বিষয়ে ম্যাক্সে বলেন, আমি মাত্র ১৩ বছর বয়সে শুরু করেছিলাম হাফ একর জমিতে। সেখানে যে কুমড়া উৎপাদন হতো তা আমার স্কুলের বন্ধুদের কাছে বিক্রি করে দিতাম। প্রতি বছর আমার বিক্রি বাড়তে থাকে। এখন আমার সেই খামার ৬ একরে। এই কাজ করতে গিয়ে আমি আর পড়াশোনা করতে পারি নি। পুরো সময় দেয়ার জন্য ১৬ বছর বয়সে আমাকে স্কুলের পড়াশোনার পাঠ চুকাতে হয়।
ম্যাক্সে প্রায় ২৫ হাজার কুমড়া গাছ লাগান। বীজ থেকে গাছ হতে সময় নেয় এক সপ্তাহের মতো। তারপর ৬ মাসের অপেক্ষা। এ সময় গাছগুলো পরিণত হয়। তাতে কুমড়া ধরে। ম্যাক্সের ফার্মে তার ব্যবসা চালিয়ে নিতে এখন কাজ করেন ৩৫ জন স্টাফ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

অন্যরকম কুমড়া চাষী

আপডেট টাইম : ০৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

কুমড়া চাষে ভাগ্য পাল্টেছেন জেমস ম্যাক্সে। তিনি যেদিকে তাকান সেদিকেই কুমড়া। তার কুমড়ার খামার দেখতে শুধু এই অক্টোবরে ছুটে গিয়েছেন কমপক্ষে এক লাখ পর্যবেক্ষক। অথচ মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি শুধু পকেট মানি যোগাড় করার জন্য শুরু করেছিলেন কুমড়া চাষ। নিজেদের পারিবারিক খামারে এক কোণায় সামান্য অংশে শুরু হয়েছিল তার এই কাজ। তারপর সাত বছর ধরে তিনি অব্যাহতভাবে এই কাজ চালিয়ে আসছেন। কিন্তু সেই পকেটমানির টান তাকে এখন একজন পুরোদস্তুর খামারি বানিয়ে দিয়েছে। তিনি এখন ২০ রকম ভিন্ন ভিন্ন আকার, সাইজ ও রঙের কুমড়া চাষ করছেন।

নটিংহ্যামশায়ারে কির্কলিঙ্গটনে এখন ৬ একরে তার খামার।
এ বিষয়ে ম্যাক্সে বলেন, আমি মাত্র ১৩ বছর বয়সে শুরু করেছিলাম হাফ একর জমিতে। সেখানে যে কুমড়া উৎপাদন হতো তা আমার স্কুলের বন্ধুদের কাছে বিক্রি করে দিতাম। প্রতি বছর আমার বিক্রি বাড়তে থাকে। এখন আমার সেই খামার ৬ একরে। এই কাজ করতে গিয়ে আমি আর পড়াশোনা করতে পারি নি। পুরো সময় দেয়ার জন্য ১৬ বছর বয়সে আমাকে স্কুলের পড়াশোনার পাঠ চুকাতে হয়।
ম্যাক্সে প্রায় ২৫ হাজার কুমড়া গাছ লাগান। বীজ থেকে গাছ হতে সময় নেয় এক সপ্তাহের মতো। তারপর ৬ মাসের অপেক্ষা। এ সময় গাছগুলো পরিণত হয়। তাতে কুমড়া ধরে। ম্যাক্সের ফার্মে তার ব্যবসা চালিয়ে নিতে এখন কাজ করেন ৩৫ জন স্টাফ।