মোটামুটি সর্বগুণসম্পন্ন পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালরি, ভিটামিন-এ, আই ইউ, থিয়ামিন, নিয়াসিন, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন।
পেয়ারাতে ভিটামিন ‘এ’ এবং ফলিক অ্যাসিড থাকার কারণে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং চোখের ছানিপড়া রোধ করে। এ ছাড়াও ফলিক অ্যাসিড থাকায় এ ফলটি গর্ভবতী নারীদের জন্যও বিশেষ উপকারী।
যেসব রোগ প্রতিরোধে কাজ করে পেয়ারা :
১. হাই ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অনেক দিন ধরে মেনস্ট্রুয়েসনের সমস্যায়ও পেয়ারা উপকারী।
২. রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখতে সাহায্য করে। হার্টের সমস্যা থাকলে পেয়ারা খেতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি কার্যকর। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন ‘সি’ সক্রিয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে এবং হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
৩. অ্যাজমা, স্কার্ভি, ওবিসিটি ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও বেশ পেয়ারা উপকারী। ডায়াবেটিস তো বটেই, ক্যান্সার এমন কি প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে পেয়ারা। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারসমৃদ্ধ পেয়ারা ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৪. পেয়ারা পাতার জুস গ্যাস্ট্রোনটেস্টিনাল সমস্যায় উপকারী। কারণ, পেয়ারা পাতায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া পেয়ারা পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতার জুস সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেয়ারা ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রুখতে সাহায্য করে। একই কারণে অনেক বডি লোশন বা ফেস ক্রিমের উপাদানে পেয়ারা থাকে। বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ, যেমন—অ্যালজাইমার, ছানি, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও ডিসেন্ট্রি প্রতিরোধ করে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ পেয়ারা।