বাঙ্গালী কণ্ঠ ডেস্কঃ গাজীপুরের কাপাসিয়া সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পূর্বে ঘাগটিয়া। এখান থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বাঘুয়া গ্রাম। যাওয়ার পথে মানুষজন কমই চোখে পড়েছে। রাস্তার দুই পাশে বাঁশঝাড়, জঙ্গল, ক্ষেত। কোনো কোনো জায়গায় ভরদুপুরেও যেন সন্ধ্যা নেমে গেছে। গাছগাছালির ফেরে সূর্যের আলোটুকুও মাটি ছুঁতে পারছে না। স্থানীয় একজনের কাছে শুনলাম, এ গ্রামে নতুন মসজিদ-মাদরাসা হয়েছে—দেখতে বেশ, তাই যাওয়া। কিন্তু লোকালয়হীন জায়গায় মসজিদ, জামাতে কত লোক শরিক হয়, নির্মাণশৈলীই বা কেমন হবে; মনে মনে মেলাচ্ছি। অবশেষে গিয়ে পৌঁছলাম জায়গামতো। রাস্তাঘেঁষা বড় মাঠ, সবুজ ঘাস; ওপাশে শেখ আমির হামজা হাফিজিয়া মসজিদ ও মাদরাসা।
জাহাঙ্গীর আলম নামের এক জন স্থানীয় ব্যক্তির উদ্যোগে মসজিদ-মাদরাসা নির্মিত হয়। ভবন ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনার জন্য তাঁরা দুই ভাই ও চার বোন জায়গা দেন। ইংরেজি হরফের ‘এল’ আকৃতির লাল রঙা ভবনের এক পাশ চারতলা, অন্যদিকে দোতলা। নির্মাণ ও অন্যান্য খরচাপাতি কে জোগান দিয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মিরপুর সিরামিকস, আকিজ গ্রুপসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান টাকা, জিনিসপত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে।’
নামকরণ সম্পর্কে তিনি জানান, আমাদের বংশের (শেখ) নামের সঙ্গে দাদার নাম (আমির) এবং মা হাজেরার ‘হা’, বাবা মজিদের ‘ম’ আর আমার নামের আদ্যক্ষর ‘জা’ জুড়ে দিয়ে এই নাম ঠিক করা হয়েছে। গত বছর থেকে (২০১৮) মসজিদ ও মাদরাসার কার্যক্রম শুরু হয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২। নতুন এই মসজিদের সঙ্গে মাদরাসা নির্মিত হওয়ার আশপাশের এলাকার মানুষজন সন্তানদের দ্বিনি শিক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে বলে মত দিয়েছেন পার্শ্ববর্তী সিংগুয়া পশ্চিমপাড়ার সমাজসেবক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। মসজিদের ভেতরে একসঙ্গে তিন শতাধিক লোক নামাজ আদায় করতে পারে। গ্রাম এলাকায় হওয়ায় স্বল্প পরিসরে নির্মিত হলেও পরবর্তী সময়ে সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।