ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী নারীর মৃত্যু

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী নারীর মৃত্যু

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী নারী তানজিলিয়া বিসেম্ববেয়েভা মারা গেছেন। রাশিয়ান বুক অফ রেকর্ডস অনুযায়ী, মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ১২৩ বছর। বুধবার দক্ষিণ রাশিয়ার আস্ত্রাখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবর যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম মিররের।রুশ পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, ১৮৯৬ সালের ১৪ মার্চে জন্মগ্রহণ করেন তানজিলিয়া। ঊনবিংশ, বিংশ ও একবিংশ শতাব্দী চোখে দেখেছেন এই নারী। জীবনের শেষপর্যায়ে এসেও বয়সের ভারে নুইয়ে যাননি তিনি।তার পরিবারের দাবি, ১০০ বছর বয়স হওয়ার আগে খুব একটা মেডিকেল চেকআপ বা ওষুধপত্রের ধার ধারেননি তানজিলিয়া। অবাক করার মতো বিষয় হলো, ১২৩ বছর বয়সেও নিজের কাজ নিজেই করতেন এই নারী।তানজিলিয়া কিভাবে এই স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু পেলেন জানতে চাইলে তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, তিনি এক মুহূর্ত স্থিরভাবে বসতেন না। তার এক নাতি জানান, দাদি সবসময় কোনও না কোনও কাজে ব্যস্ত থাকতেন।তিনি বলেন, দাদিকে কেউ একটানা শুয়ে বা বসে থাকতে দেখেনি কখনও। তার এই দীর্ঘায়ু পাওয়ার পেছনে জিনগত প্রভাবও কাজ করেছে। অবশ্য দাদি দৈনন্দিন জীবনে বেশকিছু নিয়ম মেনে চলতেন।তানজিলিয়ার এই নাতি জানান, তিনি নেশাজাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকতেন। খাবারের দিক থেকেও কিছুটা খুঁতখুঁতে ছিলেন তিনি। প্যাকেটের প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতেন না। শুধু টাটকা ও বাড়িতে বানানো খাবারই খেতেন।তানজিলিয়ার কর্মজীবনও ছিল বেশ লম্বা। অবসরের বয়স পার হওয়ার পরও বেশকিছু বছর কাজ করেন তিনি। তার জন্য পান বিশেষ স্বীকৃতিও। ২০১৬ সালে ১২০ বছর বয়সে রাশিয়ান বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠে তানজিলিয়ার।তবে এসব নিয়ে কোনোদিন ভাবেননি তানজিলিয়া। চার সন্তান, দশ নাতি-নাতনি, ১৩ জন প্রপৌত্র নিয়ে সুখে সংসার করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী নারী।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী নারীর মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০৬:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০১৯

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী নারী তানজিলিয়া বিসেম্ববেয়েভা মারা গেছেন। রাশিয়ান বুক অফ রেকর্ডস অনুযায়ী, মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ১২৩ বছর। বুধবার দক্ষিণ রাশিয়ার আস্ত্রাখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবর যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম মিররের।রুশ পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, ১৮৯৬ সালের ১৪ মার্চে জন্মগ্রহণ করেন তানজিলিয়া। ঊনবিংশ, বিংশ ও একবিংশ শতাব্দী চোখে দেখেছেন এই নারী। জীবনের শেষপর্যায়ে এসেও বয়সের ভারে নুইয়ে যাননি তিনি।তার পরিবারের দাবি, ১০০ বছর বয়স হওয়ার আগে খুব একটা মেডিকেল চেকআপ বা ওষুধপত্রের ধার ধারেননি তানজিলিয়া। অবাক করার মতো বিষয় হলো, ১২৩ বছর বয়সেও নিজের কাজ নিজেই করতেন এই নারী।তানজিলিয়া কিভাবে এই স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু পেলেন জানতে চাইলে তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, তিনি এক মুহূর্ত স্থিরভাবে বসতেন না। তার এক নাতি জানান, দাদি সবসময় কোনও না কোনও কাজে ব্যস্ত থাকতেন।তিনি বলেন, দাদিকে কেউ একটানা শুয়ে বা বসে থাকতে দেখেনি কখনও। তার এই দীর্ঘায়ু পাওয়ার পেছনে জিনগত প্রভাবও কাজ করেছে। অবশ্য দাদি দৈনন্দিন জীবনে বেশকিছু নিয়ম মেনে চলতেন।তানজিলিয়ার এই নাতি জানান, তিনি নেশাজাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকতেন। খাবারের দিক থেকেও কিছুটা খুঁতখুঁতে ছিলেন তিনি। প্যাকেটের প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতেন না। শুধু টাটকা ও বাড়িতে বানানো খাবারই খেতেন।তানজিলিয়ার কর্মজীবনও ছিল বেশ লম্বা। অবসরের বয়স পার হওয়ার পরও বেশকিছু বছর কাজ করেন তিনি। তার জন্য পান বিশেষ স্বীকৃতিও। ২০১৬ সালে ১২০ বছর বয়সে রাশিয়ান বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠে তানজিলিয়ার।তবে এসব নিয়ে কোনোদিন ভাবেননি তানজিলিয়া। চার সন্তান, দশ নাতি-নাতনি, ১৩ জন প্রপৌত্র নিয়ে সুখে সংসার করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী নারী।