ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফজরের নামাজ আদায়কারীকে আল্লাহ তাআলা নিজ জিম্মায় নিয়ে যান

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী :: নামাজ হল ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যকেরই নামাজ আদায় করা উচিৎ। তাতে আসুক যত বাধা-বিপত্তি। হাদিসের আলোকে জানা যায়, ফজরের নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করার ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহ তাআলা জামাআতের সঙ্গে ফজর আদায়কারীকে নিজ জিম্মায় নিয়ে যান। দুনিয়ার সব বিপদাপদ থেকে মুক্ত থাকবে সে।

হজরত জুনদুব ইবনে সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামাআতে ফজরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর হেফাজতে চলে গেল। শুধু তাই নয়, যে ব্যক্তি ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করবে তার জন্য রয়েছে বড় সুসংবাদ। সে পাবে সারা রাত ইবাদতের সাওয়াব। তবে শর্ত হলো ওই ব্যক্তিকে ইশার নামাজও জামাআতের সঙ্গে আদায় করতে হবে।

সুতরাং সবার উচিত যথাসময়ে ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করা। কোনোভাবেই যেন অলসতা ও অবহেলায় ফজর নামাজ কাজা না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। কেননা ফজরের নামাজ আদায়কারীকে আল্লাহ তাআলা তার নিজ জিম্মায় নিয়ে যান। মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফজরের নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফজরের নামাজ আদায়কারীকে আল্লাহ তাআলা নিজ জিম্মায় নিয়ে যান

আপডেট টাইম : ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী :: নামাজ হল ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যকেরই নামাজ আদায় করা উচিৎ। তাতে আসুক যত বাধা-বিপত্তি। হাদিসের আলোকে জানা যায়, ফজরের নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করার ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহ তাআলা জামাআতের সঙ্গে ফজর আদায়কারীকে নিজ জিম্মায় নিয়ে যান। দুনিয়ার সব বিপদাপদ থেকে মুক্ত থাকবে সে।

হজরত জুনদুব ইবনে সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামাআতে ফজরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর হেফাজতে চলে গেল। শুধু তাই নয়, যে ব্যক্তি ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করবে তার জন্য রয়েছে বড় সুসংবাদ। সে পাবে সারা রাত ইবাদতের সাওয়াব। তবে শর্ত হলো ওই ব্যক্তিকে ইশার নামাজও জামাআতের সঙ্গে আদায় করতে হবে।

সুতরাং সবার উচিত যথাসময়ে ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করা। কোনোভাবেই যেন অলসতা ও অবহেলায় ফজর নামাজ কাজা না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। কেননা ফজরের নামাজ আদায়কারীকে আল্লাহ তাআলা তার নিজ জিম্মায় নিয়ে যান। মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফজরের নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।