ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরান ঢাকার তারা মসজিদ

রান ঢাকার আরমানিটোলার আবুল খয়রাত রোডের পাশে অবস্থিত তারায় তারায় খচিত মসজিদটি শুরুতে তারকা খচিত ছিল না। ছিল না বর্তমানে যেমন দেখছি সেই রূপেও। এমনকি যখন মসজিদটি নির্মাণ হয় তখন এর নামটি তারা মসজিদ হিসেবে পরিচিতি পায়নি। আঠারো শতকের শেষ দিকে মতান্তরে ঊনবিংশ শতকের প্রারম্ভে মির্জা আহমেদ জান বা জমিদার মীর্জা গোলাম পীর মূল মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।

নির্মাণকালে মসজিদটি ছিল তিন গম্বুজ রীতির। তখন তা মীর্জা সাহেবের মসজিদ নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে বিংশ শতকের শুরুতে ঢাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আলী জান বেপারি মসজিদটি সম্পূর্ণ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করেন। তিনি মসজিদের পূর্ব দিকে একটি বারান্দা সংযোজন করেন এবং সমগ্র ইমারতটি মূল্যবান জাপানি ও ইংলিশ রঙিন টাইলস দিয়ে তারার মোটিফে সজ্জিত করেন। সংস্কারের মাধ্যমে মসজিদটিকে বর্তমানে পাঁচ গম্বুজ মসজিদে রূপান্তর করা হলেও প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি তিন গম্বুজ রীতিরই। আর মসজিদের গম্বুজ থেকে দেয়াল পর্যন্ত অলঙ্করণের বিষয়বস্তুতে তারা নকশার আধিক্যের কারণে মসজিদটি পরবর্তীকালে তারা মসজিদ নামেই পরিচিতি পায়। ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে এ মসজিদটির ফের সংস্কার করা হয়। এই সময় পুরনো একটি মেহরাব ভেঙে দুটো গম্বুজ আর তিনটি নতুন মেহরাব বানানো হয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে এর গম্বুজ সংখ্যা পাঁচটিতে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে মসজিদের জায়গা সম্প্রসারিত হয়।


মসজিদের বর্তমান আকার
মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট (২১.৩৪ মিটার), প্রস্থ ২৬ ফুট (৭.৯৮ মিটার)। এ ছাড়া মসজিদের দেয়াল ফুল, চাঁদ, তারা, আরবি ক্যালিওগ্রাফিক লিপি ইত্যাদি দিয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পুরান ঢাকার তারা মসজিদ

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০১৭

রান ঢাকার আরমানিটোলার আবুল খয়রাত রোডের পাশে অবস্থিত তারায় তারায় খচিত মসজিদটি শুরুতে তারকা খচিত ছিল না। ছিল না বর্তমানে যেমন দেখছি সেই রূপেও। এমনকি যখন মসজিদটি নির্মাণ হয় তখন এর নামটি তারা মসজিদ হিসেবে পরিচিতি পায়নি। আঠারো শতকের শেষ দিকে মতান্তরে ঊনবিংশ শতকের প্রারম্ভে মির্জা আহমেদ জান বা জমিদার মীর্জা গোলাম পীর মূল মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।

নির্মাণকালে মসজিদটি ছিল তিন গম্বুজ রীতির। তখন তা মীর্জা সাহেবের মসজিদ নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে বিংশ শতকের শুরুতে ঢাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আলী জান বেপারি মসজিদটি সম্পূর্ণ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করেন। তিনি মসজিদের পূর্ব দিকে একটি বারান্দা সংযোজন করেন এবং সমগ্র ইমারতটি মূল্যবান জাপানি ও ইংলিশ রঙিন টাইলস দিয়ে তারার মোটিফে সজ্জিত করেন। সংস্কারের মাধ্যমে মসজিদটিকে বর্তমানে পাঁচ গম্বুজ মসজিদে রূপান্তর করা হলেও প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি তিন গম্বুজ রীতিরই। আর মসজিদের গম্বুজ থেকে দেয়াল পর্যন্ত অলঙ্করণের বিষয়বস্তুতে তারা নকশার আধিক্যের কারণে মসজিদটি পরবর্তীকালে তারা মসজিদ নামেই পরিচিতি পায়। ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে এ মসজিদটির ফের সংস্কার করা হয়। এই সময় পুরনো একটি মেহরাব ভেঙে দুটো গম্বুজ আর তিনটি নতুন মেহরাব বানানো হয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে এর গম্বুজ সংখ্যা পাঁচটিতে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে মসজিদের জায়গা সম্প্রসারিত হয়।


মসজিদের বর্তমান আকার
মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট (২১.৩৪ মিটার), প্রস্থ ২৬ ফুট (৭.৯৮ মিটার)। এ ছাড়া মসজিদের দেয়াল ফুল, চাঁদ, তারা, আরবি ক্যালিওগ্রাফিক লিপি ইত্যাদি দিয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।