ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাপুলের স্ত্রী-মেয়েকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ও অর্থ পাচারের মামলায় লক্ষ্মীপুরের এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী ও মেয়েকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে দশ দিনের মধ্যে তাদেরকে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত। ওইদিন আসামিদের জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ২৬ নভেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন এমপি পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম এবং শ্যালিকা জেসমিন প্রধান। এদের মধ্যে সেলিনা ও ওয়াফার জামিন আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। সেই মোতাবেক সকালে হাইকোর্টে সশরীরে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ে।

এদিকে শহিদ ইসলাম এবং তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার এফডিআরে বিনিয়োগকৃত টাকার উৎস এবং সেখান থেকে মানি লন্ড্রারিং হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে দেয়া মতামতে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক মো. আরেফিন আহসান মিঞাকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৪ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

গত জুলাই মাসে ঐ মতামতে আরেফিন আহসান মিঞা বলেছিলেন, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক হাতিরপুল শাখা থেকে জেসমিন আক্তার এফডিআরের বিপরীতে দুটি ঋণ নিয়েছেন এবং তা পরিশোধ করেছেন। এখানে উল্লিখিত এফডিআর এর টাকা ব্যবহারের ব্যাপারে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মানি লন্ড্রারিং সংঘটিত হতে পারে মর্মে প্রতীয়মান হয়নি। আবার সার্বিক পর্যালোচনায় তিনি বলেছেন, উক্ত চারজনের এফডিআরে বিনিয়োগকৃত টাকার উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আবার ঋণ হিসাব থেকে কোন কোন খাতে অর্থ ট্রান্সফার করা হয়েছে, অথবা মানি লন্ড্রারিং হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করা যায়নি।

গত ১১ নভেম্বর শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পাপুলের স্ত্রী-মেয়েকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

আপডেট টাইম : ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ও অর্থ পাচারের মামলায় লক্ষ্মীপুরের এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী ও মেয়েকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে দশ দিনের মধ্যে তাদেরকে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত। ওইদিন আসামিদের জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ২৬ নভেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন এমপি পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম এবং শ্যালিকা জেসমিন প্রধান। এদের মধ্যে সেলিনা ও ওয়াফার জামিন আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। সেই মোতাবেক সকালে হাইকোর্টে সশরীরে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ে।

এদিকে শহিদ ইসলাম এবং তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার এফডিআরে বিনিয়োগকৃত টাকার উৎস এবং সেখান থেকে মানি লন্ড্রারিং হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে দেয়া মতামতে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক মো. আরেফিন আহসান মিঞাকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৪ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

গত জুলাই মাসে ঐ মতামতে আরেফিন আহসান মিঞা বলেছিলেন, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক হাতিরপুল শাখা থেকে জেসমিন আক্তার এফডিআরের বিপরীতে দুটি ঋণ নিয়েছেন এবং তা পরিশোধ করেছেন। এখানে উল্লিখিত এফডিআর এর টাকা ব্যবহারের ব্যাপারে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মানি লন্ড্রারিং সংঘটিত হতে পারে মর্মে প্রতীয়মান হয়নি। আবার সার্বিক পর্যালোচনায় তিনি বলেছেন, উক্ত চারজনের এফডিআরে বিনিয়োগকৃত টাকার উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আবার ঋণ হিসাব থেকে কোন কোন খাতে অর্থ ট্রান্সফার করা হয়েছে, অথবা মানি লন্ড্রারিং হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করা যায়নি।

গত ১১ নভেম্বর শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।