ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ইসরাইলি বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সবচেয়ে বড় ও দেড় হাজার বছরের পুরোনো আল ওমারি মসজিদ। গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল। ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ইউনেস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

শুক্রবার মসজিদটির ধ্বংসস্তুপের ছবি প্রকাশ করে হামাস।

সপ্তম শতকে গাজা সিটির কেন্দ্রস্থলে নির্মিত হয় দ্য গ্রেট ওমারি মসজিদ। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমরের (রা.) নামে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছিল।

ঐতিহ্যবাহী এই ইসলামিক স্থাপত্যকে বাতিঘর হিসেবে বিশ্বাস করেন গাজাবাসী। তাদের মতে, কেবল মুসলিমদের জন্যই নয়, এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব যে কোনো মানুষের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে।

বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই মসজিদ। এর মধ্যে ভূমিকম্পেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এটি। তবে প্রতিবারই একে নতুন করে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে আর শেষ রক্ষা হলো না। একের পর এক হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে আল ওমারি মসজিদও। কেবল টিকে আছে দেড় বছর পুরোনো মসজিদটির মিনার।

আল ওমারি মসজিদ ছাড়াও এ পর্যন্ত গাজার ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল। সেই সঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী নানা নিদর্শন। এর মধ্যে রয়েছে দুই হাজার বছর পুরোনো সেন্ট পরফিরাস চার্চ। এছাড়া বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীন রোমান কবরস্থান, জাদুঘরেও আঘাত হানে ইসরাইল।

প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা ও ধ্বংস করাকে জঘন্য, বর্বর অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরাইলের আগ্রাসন থেকে ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ইউনেস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

গাজায় ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল

আপডেট টাইম : ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ইসরাইলি বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সবচেয়ে বড় ও দেড় হাজার বছরের পুরোনো আল ওমারি মসজিদ। গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল। ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ইউনেস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

শুক্রবার মসজিদটির ধ্বংসস্তুপের ছবি প্রকাশ করে হামাস।

সপ্তম শতকে গাজা সিটির কেন্দ্রস্থলে নির্মিত হয় দ্য গ্রেট ওমারি মসজিদ। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমরের (রা.) নামে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছিল।

ঐতিহ্যবাহী এই ইসলামিক স্থাপত্যকে বাতিঘর হিসেবে বিশ্বাস করেন গাজাবাসী। তাদের মতে, কেবল মুসলিমদের জন্যই নয়, এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব যে কোনো মানুষের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে।

বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই মসজিদ। এর মধ্যে ভূমিকম্পেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এটি। তবে প্রতিবারই একে নতুন করে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে আর শেষ রক্ষা হলো না। একের পর এক হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে আল ওমারি মসজিদও। কেবল টিকে আছে দেড় বছর পুরোনো মসজিদটির মিনার।

আল ওমারি মসজিদ ছাড়াও এ পর্যন্ত গাজার ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল। সেই সঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী নানা নিদর্শন। এর মধ্যে রয়েছে দুই হাজার বছর পুরোনো সেন্ট পরফিরাস চার্চ। এছাড়া বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীন রোমান কবরস্থান, জাদুঘরেও আঘাত হানে ইসরাইল।

প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা ও ধ্বংস করাকে জঘন্য, বর্বর অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরাইলের আগ্রাসন থেকে ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ইউনেস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।