ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আড়াই ঘণ্টা এমপি’ হয়েও যেতে পারেননি সংসদে, মনোনয়ন প্রত্যাহার

জোটের গ্যাঁড়াকলে পড়লেন ‘আড়াই ঘণ্টার এমপি’ মো. শাহজাহান আলম সাজু। সমঝোতায় জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দেওয়ায় শাহজাহান আলম সাজু ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করেন তিনি।

উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সংসদীয় আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে গত ৫ নভেম্বর উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শাহজাহান আলম সাজু। শাহজাহান আলম সাজুর জয়ের মাধ্যমে ৫০ বছর পর এই আসনটি ফিরে পায় আওয়ামী লীগ। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার আড়াই ঘণ্টা পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যে কারণে শাহজাহান আলম নিজেকে ‘আড়াই ঘণ্টার এমপি’ হিসেবে সবার কাছে বলে বেড়াতেন। সম্প্রতি তাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাহজাহান আলম সাজুকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।

রোববার বিকেলে ফোন করা হলে শাহজাহান আলম সাজু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, দলীয় নির্দেশনা মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীর স্বার্থে দলীয় সিদ্ধান্তে আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এক মাস আগে এই আসনের উপ-নির্বাচনে আমি সাবেক দুই বারের সাংসদ সদস্যকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছিলাম।

একাধিক সূত্র জানায়, এ আসনটিতে আব্দুল হামিদ ভাসানীকে মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় পার্টি। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওই আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যে কারণে আব্দুল হামিদ নাকি রেজাউল ইসলাম দলীয় প্রতীক পান, সেটি এখন দেখার বিষয়। আসনটিতে রেজাউল ইসলামের শ্বশুর সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি নেতা জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করছেন।

রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া আজ বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে শেষ পর্যন্ত তাকে জোটের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি ওই আসন থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানকে সরাইল-২ (আশুগঞ্জ) আসনে দুই জন প্রার্থীর নামের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির দলীয় প্যাডে রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার নাম এসেছে। এ আসনে কে থাকবে, সেটি জাতীয় পার্টি নির্ধারণ করবেন বলেও ডিসি জানান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

‘আড়াই ঘণ্টা এমপি’ হয়েও যেতে পারেননি সংসদে, মনোনয়ন প্রত্যাহার

আপডেট টাইম : ০৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

জোটের গ্যাঁড়াকলে পড়লেন ‘আড়াই ঘণ্টার এমপি’ মো. শাহজাহান আলম সাজু। সমঝোতায় জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দেওয়ায় শাহজাহান আলম সাজু ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করেন তিনি।

উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সংসদীয় আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে গত ৫ নভেম্বর উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শাহজাহান আলম সাজু। শাহজাহান আলম সাজুর জয়ের মাধ্যমে ৫০ বছর পর এই আসনটি ফিরে পায় আওয়ামী লীগ। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার আড়াই ঘণ্টা পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যে কারণে শাহজাহান আলম নিজেকে ‘আড়াই ঘণ্টার এমপি’ হিসেবে সবার কাছে বলে বেড়াতেন। সম্প্রতি তাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাহজাহান আলম সাজুকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।

রোববার বিকেলে ফোন করা হলে শাহজাহান আলম সাজু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, দলীয় নির্দেশনা মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীর স্বার্থে দলীয় সিদ্ধান্তে আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এক মাস আগে এই আসনের উপ-নির্বাচনে আমি সাবেক দুই বারের সাংসদ সদস্যকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছিলাম।

একাধিক সূত্র জানায়, এ আসনটিতে আব্দুল হামিদ ভাসানীকে মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় পার্টি। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওই আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যে কারণে আব্দুল হামিদ নাকি রেজাউল ইসলাম দলীয় প্রতীক পান, সেটি এখন দেখার বিষয়। আসনটিতে রেজাউল ইসলামের শ্বশুর সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি নেতা জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করছেন।

রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া আজ বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে শেষ পর্যন্ত তাকে জোটের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি ওই আসন থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানকে সরাইল-২ (আশুগঞ্জ) আসনে দুই জন প্রার্থীর নামের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির দলীয় প্যাডে রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার নাম এসেছে। এ আসনে কে থাকবে, সেটি জাতীয় পার্টি নির্ধারণ করবেন বলেও ডিসি জানান।